'মৃতদেহের ব্যাগ গোনা আমাদের কাজ নয়, আমাদের কাজ হল টার্গেটে হিট (নিশানা) করা' - ‘অপারেশন সিঁদুর’-র আবহে পাকিস্তানি সেনার কতজনের মৃত্যু হয়েছেন, কতজন আহত হয়েছেন, তা নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন ভারতের এয়ার অপারেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল এয়ার মার্শাল একে ভারতী। পাকিস্তানি সেনার কতজনের মৃত্যু হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে ভারতের তিনটি বাহিনীর মিলিত সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘কতজন হতাহত হয়েছে? কতজন আহত হয়েছে? (সেটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না আমরা।) আমাদের লক্ষ্য ছিল না যে কাউকে হতাহত করা। যদি কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকে, সেটা ওরা (পাকিস্তান) গুনবে। আমাদের কাজ হল যে নির্দিষ্ট টার্গেটে হিট করতে হবে (নিশানা করতে হবে বা সেই টার্গেট গুঁড়িয়ে দিতে হবে)। মৃতদেহের ব্যাগের সংখ্যা গোনা আমাদের কাজ নয়।’
জঙ্গিদের মৃত্যুতে ‘মর্মাহত’ হয়ে নিজেদের কবর খুঁড়েছে পাকিস্তান
আর ‘অপারেশন সিঁদুর’-র নিশানায় যে আদতে পাকিস্তানি সেনা ছিল না, তা প্রথম থেকেই বলে আসছে ভারত। সেই বিষয়টি রবিবারের সাংবাদিক বৈঠকেও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই।
আরও পড়ুন: করাচিতেও হামলা চালাতে তৈরি ছিলাম, হুংকার ভারতীয় নৌসেনার, ভয়ে লেজ গুটিয়ে ছিল পাক
কিন্তু জঙ্গিদের মৃত্যুতে ‘মর্মাহত’ এবং ‘বেদনাগ্রস্ত’ পাকিস্তানি সেনা এমন কাজ করেছে যে নিজেদের ফৌজিদের বিপদ ডেকে এনেছে। ভারতীয় সামরিক বাহিনী যেখানে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি শিবিরকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়, সেখানে ভারতের সাধারণ মানুষ এবং সামরিক প্রতিষ্ঠানের উপরে হামলার চেষ্টা করে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানি সেনার কোমর ভেঙে দিয়েছে ভারত
সেইসঙ্গে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর লাগাতার গোলাগুলি বর্ষণ করতে থাকে। সেই পরিস্থিতিতে পালটা জবাব দিতে বাধ্য হয় ভারত। নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রত্যুত্তর দেয়। প্রত্যাঘাত করে পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিতে। একেবারে নিখুঁত নিশানায় পালটা আক্রমণ করে পাকিস্তানের কোমর ভেঙে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: 'পুরো পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে হবে, বদলা নেব বাবার', একরাশ রাগ শহিদ জওয়ানের মেয়ের
নিয়ন্ত্রণরেখায় ৩৫-৪০ পাকিস্তানি ফৌজি খতম, বলল ভারত
সেই বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে রবিবার ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস জানান, পাকিস্তানি সেনার কতজনের মৃত্যু হয়েছে, সেটা নির্ধারণের বিভিন্ন উপায় আছে। বিভিন্ন এজেন্সি থেকে যে তথ্য এসেছে, তার ভিত্তিতে জানা গিয়েছে যে স্রেফ নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তানি সেনার ৩৫-৪০ জন ফৌজির মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: একাধিক পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানকে ‘মেরে দিল’ ভারত, বলল 'আমাদের সব পাইলট ঘরে ফিরেছে’
তিনি আরও জানান, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালানো হয়, সেটার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে পাকিস্তান সামরিক প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে প্রত্যাঘাত করেনি ভারত। জঙ্গিদের নিশানা করা হয়েছিল। কিন্তু ইসলামাবাদ যখন আকাশপথে ভারতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে, তখন পালটা জবাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ঘাই।