বিএসএফে বর্তমানে পুরুষ ও মহিলা জওয়ানরা অসম সাহসিকতার সঙ্গে দেশরক্ষার কাজ করেন। কর্তব্যে সর্বদা অবিচল। সদা সতর্ক বিএসএফের মহিলা জওয়ানরা, আধিকারিকরা। তাঁদের জন্য গর্বিত গোটা দেশ। এবার প্রশ্ন এবার ভারত পাক সীমান্তে যখন উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল তখন কী করলেন মহিলা জওয়ানরা?
সেই সময় বিএসএফের মহিলা জওয়ানরা যে ভূমিকা নিয়েছিলেন, যেভাবে তাঁদের ডিউটির প্রতি মর্যাদা দেখিয়েছিলেন তা অত্যন্ত গর্বের।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সেই মহিলা জওয়ানদের সাহসিকতার কথা তুলে ধরেছেন এক বিএসএফ আধিকারিক। তিনি বলেন, নারী জওয়ানরা কোনও অংশে কম নন। তাঁরা একজন সৈনিক হিসাবে কাজ করেছেন। তাঁদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তা তাঁরা পুরো পালন করেছেন। যখন ক্রশ বর্ডার ফায়ারিং হচ্ছিল তখন তাঁদের বলা হয়েছিল আপনারা যদি চান ব্যাটেলিয়ন হেড কোয়ার্টারে চলে যেতে পারেন। ওখানে ডিউটি করতে পারেন। তখন এটাই খুশির কথা একজন মহিলা প্রহরীও বলেননি যে আমাকে বাড়ি যেতে হবে। তাঁরা বলেছিলেন যে জন্য এসেছি ফোর্সে, যখন সময় এসেছে কাঁধে কাঁধ দিয়ে লড়ার তখন প্রমাণ করার তখন সেটা করব। যে ডিউটি তাঁদের দেওয়া হয়েছিল সেটাই তাঁরা করেছেন।
ওই বিএসএফ আধিকারিক বলেন, পুরুষের মতোই তাঁরা সমস্ত পোস্টে ডিউটি করেন। মহিলা জওয়ানদেরই মোকাবিলা করতে পারেনি পাকিস্তান। ওদের পোস্ট গুড়িয়ে দিয়েছে। এখন মেরামতও করতে আসে না তারা। কয়েকজন সিভিলিয়ান আসে, হয়তো সিভিলিয়ানের পোশাক পরে আসে পাক সেনারা…
তিনি বলেন, দেশের গর্ব হওয়া দরকার এই মহিলা জওয়ানদের জন্য। এই পেশা তাঁরা নিজেদের ইচ্ছায় এসেছেন। তাঁরা প্রমাণ করে দিয়েছেন এই লড়াইতে তাঁরা পুরুষদের থেকে কম কিছু নন। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন। মহিলা জওয়ানরা বাঙ্কারে থেকে লড়াই করেছেন। যখন গোলাগুলি চলেছে তখনও, সংঘর্ষ বিরতির সময়তেও আর সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেছে ওরা তখনও একইভাবে আমাদের মহিলা জওয়ানরা সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে গেছেন।
তিনি বলেন, আমরা কখনও পেছনে যাই না। আমরা যে কোনও পরিস্থিতিতে সীমান্ত রক্ষার জন্য় তৈরি। যতক্ষণ আমরা সীমান্তে আছি একটা শত্রুও আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারবে না। আর দেখলে আমরা যোগ্য জবাব দেব। সাধারণ মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারেন। পাকিস্তানের মনোবল একেবারে ভেঙে গিয়েছে।