২০২৫ সালের আইপিএলে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বৃষ্টি-বিঘ্নিত রোমাঞ্চকর ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের কাছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তিন উইকেটে হেরে যাওয়ার পর, হার্দিক পান্ডিয়া কোনও কথা বলার অবস্থায় ছিল না। প্লে-অফের অঙ্কে এই ম্যাচটির গুরুত্ব মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে অনেক বেশি ছিল। আর এই রকম হাইপ্রোফাইল ম্যাচে মুম্বইয়ের নো-বলই চাপে ফেলে দলকে। শেষ ওভারেও দীপক চাহার নো-বল করে বসেন। এছাড়া হার্দিক পান্ডিয়াও নো-বল করেন ২টি। যার খেসারত দিতে হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে।
‘নো-বল করাটা অপরাধ’
এই নো-বল প্রসঙ্গে হার্দিক বলেন, ‘এটা একটা অপরাধ’। এর জন্য নিজেকেও দোষ দেন হার্দিক। তিনি বলেন, ‘ক্যাচ মিসগুলো আসলে আমাদের খুব একটা ক্ষতি করেনি, কিন্তু নো-বল, আমার নো-বল সহ, এমন কী শেষ ওভারের নো-বলেও বড় ধাক্কা খেয়েছি। টি-টোয়েন্টিতে আমার চোখে, এটা একটা অপরাধ এবং প্রায়শই এটি আপনাকে চাপে ফেলে। কিন্তু দলের প্লেয়ারদের তাদের ১২০ শতাংশ দেওয়ার জন্য, খেলায় আমাদের লড়াইয়ে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য এবং হাল না ছাড়ার জন্য আমি সত্যিই খুশি।’
উইল জ্যাকসের পালটা আক্রমণে ৫৩ রান এবং সূর্যকুমার যাদব (৩৫) এবং করবিন বোশ (২৭) এর অবদান সত্ত্বেও, ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৫৫ রান করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তবে এমআই বল হাতে ভালো পারফরম্যান্স করেছে। জসপ্রীত বুমরাহ এবং ট্রেন্ট বোল্ট অসাধারণ বল করেন। দুই তারকা পেসার মিলে সাই সুদর্শন, শুভমন গিল, শাহরুখ খান এবং শেরফান রাদারফোর্ডকে আউট করে জিটি-কে বিপদে ফেলেন।
কিন্তু স্লো ওভার রেটের জন্য পেনাল্টি পায় মুম্বই। এর অর্থ হল শেষ ওভারে এমআই-এর বৃত্তের বাইরে মাত্র চার জন ফিল্ডার ছিল, যেখানে জিটি-র প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। এতে ডেথ-ওভারের দায়িত্বে থাকা দীপক চাহার চাপের মুখে পড়েন- একটি চার, একটি ছক্কা এবং তার পরে একটি মারাত্মক নো-বল দেন চাহার, যা গুজরাটের ম্যাচ জয়কে নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: IPL-এ বিরাট রেকর্ড গড়লেন স্কাই, সচিনের নজির চুরমার করে ইতিহাস লিখলেন MI ব্যাটার
হার্দিক, যিনি তাঁর স্পেল চলাকালীন দু'বার নো-বল করেছিলেন। এতেও কিন্তু ধাক্কা খেয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। নো-বল ছাড়াও, ১২তম ওভারে তিলক বর্মা শুভমন গিলের সহজ ক্যাচ ফেলে দেয়, যেটা পরে ব্যয়বহুল প্রমাণিত হয়।
রান কম হয়েছিল
পাশাপাশি হার্দিক পান্ডিয়া স্বীকার করেছেন যে, লড়াই করার মতো পুঁজি এমআই বোলারদের জন্য খুবই কম ছিল। মুম্বই অধিনায়কের দাবি, ‘আমাদের যে স্কোর ছিল, সেটা নিয়ে আমরা ভালো লড়াই করেছি। বেশির ভাগ সময়ে, আমাদের হাতের বাইরে ম্যাচ ছিল, কিন্তু দল হিসেবে আমরা এগিয়ে ছিলাম। এটি ছিল মার্জিনের খেলা।’
সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘এই পিচ মোটেও ১৫০ রানের ছিল না। এখানে ১৭৫ রান হতেই পারত। আমরা ব্যাট করতে নেমে ২০-২৫ রান কম করেছিলাম, অথবা যদি আমরা ভালো ব্যাটিং করতাম তাহলে হয়তো ৩০ রান কম ছিল। তাই বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। ওরা ভালো লড়াই করেছে। তবে আমরা ম্যাচটি জিততে পারিনি।’
বৃষ্টিও সমস্যা তৈরি করে
বেশ কয়েক বার ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে, পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যায় বলে দাবি করেছেন হার্দিক। বলেছেন, ‘প্রথম ইনিংসে মাঠ ভেজা ছিল না, কিন্তু তার পর থেকে বল ভিজতে শুরু করে। এটা আমাদের সাহায্য করেছে কিনা তা নিশ্চিত নই, এটা কঠিন ছিল। বৃষ্টি বারবার আসছিল, খেলা বারবার থেমে যাচ্ছিল, তার পর আবার শুরু করাটা আদর্শ নয়। কিন্তু খেলা চলতে থাকে, আমাদের (শেষ পর্যন্ত) একটি খেলা খেলতে হয়েছিল, এবং আমরা অবশ্যই খেলেছি।’