আজ শনিবার সকালেই রেল অবরোধের কবলে পড়ে বিস্তর ভোগান্তির শিকাল হলেন নিত্যযাত্রীরা। শিয়ালদা–লক্ষ্মীকান্তপুর শাখার গোচরণ স্টেশনে রেল অবরোধ করা হয়। তার ফলে নিত্যযাত্রী যাঁরা অফিস যাবেন বা অন্য কোনও কাজে যাবেন তাঁরা যেতে পারছেন না। সকালেই এমন ঘটনা ঘটায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে রেল পুলিশ। তবে তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। বরং উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ওই এলাকায়। অবরোধের কারণে গরমের মধ্যে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা ত্রাহি ত্রাহি রব করছেন।
এই রেল অবরোধ যে হবে তা আগাম কেউ বুঝতে পারেননি। জানতেন না যে এমন ভোগান্তির মধ্যে পড়তে যাচ্ছেন। শনিবার সরকারি কিছু অফিস বন্ধ থাকলেও অনেক জায়গায় হাফ ডে আছে। আর বেসরকারি অফিস–কাছারি তো খোলাই রয়েছে। সেখানে যেতে গিয়ে অফিসযাত্রীরা নাকাল হন। অফিসযাত্রী বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, ‘এভাবে চললে অফিস সময়ে পৌঁছনো সম্ভব নয়। রেল মানুষের জীবনে একটা গুরুত্বপূর্ণ লাইফলাইন। আমরা যারা জেলা থেকে শহরে আসি কাজ করতে তাদের এসব কারণে ভুগতে হয় পথে বেরিয়ে।’
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের ‘জামতাড়া গ্যাং’য়ের মাথা গ্রেফতার বর্ধমানে, কীর্তি শুনলে চোখ কপালে উঠবে
আর এক ট্রেনযাত্রী শান্তনু রায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘যারা অবরোধ করেছে তাদের নিশ্চয়ই কাজ করে খেতে হয় না। যদি সেটা হতো তাহলে নিত্যযাত্রী বিশেষ করে যাঁরা অফিস যাচ্ছেন তাঁদের কথা ভাবতো। সেখানে অযথা একটা অত্যন্ত গুরুত্বহীন ইস্যু নিয়ে রেল অবরোধ করা হল। আর তার জেরে ভোগান্তিতে পড়ল নিত্যযাত্রীরা।’ এই লোকসানের কী হবে? এমন প্রশ্নও তুলেছেন একাধিক যাত্রী। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।
আজ, শনিবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিট থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিয়ালদার দক্ষিণ শাখার মথুরাপুর স্টেশনে রেল অবরোধ হয়। তবে আড়াই ঘণ্টা পর উঠল অবরোধ। ততক্ষণে অনেকে সড়কপথ ধরে নিয়েছেন। এই বিস্তর ভোগান্তিতে পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। অফিসে যেতে অনেকের দেরি হয়ে যায় বলে অভিযোগ। তারপরই গোচরণে রেল অবরোধ শুরু করেন মহিলা যাত্রীরা। মহিলা কামরার সংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতে আজ রেল অবরোধ করা হয়। এই অবরোধের জেরে লক্ষ্মীকান্তপুর, কাকদ্বীপ, ক্যানিং শাখায় রেল চলাচল ব্যাহত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।