অবশেষে ছন্দে ফিরলেন ইশান কিষান। তবে সানরাইজার্স হায়দারাবাদের এই ব্যাটার যখন রানে ফিরলেন, ততদিনে অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। এবারের আইপিএলের শুরুর দিকে একটা শতরান ছিল কিষানের। মনে করা হয়েছিল, এবারের IPL-র মঞ্চকে হয়ত জবাবে মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু আদতে তাঁর ব্যাট চুপ করে ছিল। শেষমেষ লিগের লাস্ট ল্যাপে এসে বিরাটদের বিরুদ্ধে ইশানের ব্যাট কথা বলল।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ৪৮ বলে ৯৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেললেন ইশান। আর ১টা বা ২টো বল পেলেই এবারের আইপিএলে নিজের দ্বিতীয় শতরানটি পেয়ে যেতেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। যদিও শতরান হাতছাড়া হওয়া নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই ইশানের, তবে আক্ষেপ রয়েছে নিজের অফ ফর্ম নিয়ে এবং দলের ব্যর্থতা নিয়ে।
ম্যাচ শেষে ইশান বলছিলেন, দলের হার থেকে কতটা শিক্ষা নিতে পেরেছেন তিনি। ২০ ওভারে ইশানের ৯৪ রানের পাশাপাশি অনিকেত বর্মার ৯ বলে ২৬ রানের ক্যামির সৌজন্যে ৬ উইকেটে ২৩১ রান করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর লড়াই থেমে যায় ১৮৯ রানে, অর্থাৎ ৪২ রান দূরে।
ওপেনারদের পারফরমেন্সকে কৃতিত্ব ইশানের
ঝাড়খণ্ডের বাঁহাতি ব্যাটার ম্যাচ শেষে বলছিলেন, ‘যখন প্রথমে ব্যাট করতে নামো আর দুই ওপেনারই ভালো শুরু করে, সেটা দলকে মোমেন্টাম দিয়ে যায়। যেই মূহূর্তে আমরা দেখলাম অভিষেক আর হেড ওভাবে ইনিংসের শুরু করেছে, আমরাও বুঝতে পারলাম যে এটা ভালো উইকেট। আর এখানে কমপক্ষে ২০০র বেশি রান করতে হবে। পরপর উইকেট পড়তে থাকলে নিশ্চয় ব্যাটিং স্টাইলে পরিবর্তন করতে হয়, তবে মোমেন্টামও জারি রাখতে হয়। সেক্ষেত্রে কিছু ভালো শট খেলতে হয়, যেটা আত্মবিশ্বাস দেয়। আমিও তাই আজকের ম্যাচে ভালো ভালো শট খেলার কথাই ভাবছিলাম। মাঠের একটা দিক বেশ বড় ছিল, তাই সেখানে অনেক ফাঁক তৈরি হচ্ছিল ’। ইশান নিজের ইনিংসে ৭টি চার এবং পাঁচটি ছয় মারেন।
নিজের খেলায় খুশি নন ইশান
ইশান কিষানের আক্ষেপ যাচ্ছে না নিজের অফ ফর্মের জন্য। তাঁর কথায়, ‘আমি সামগ্রিক পারফরমেন্সে একদমই খুশি নই। আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। আমিও দলের জন্য আরও অবদান রাখতে পারতাম। তবে এটা শিক্ষা নেওয়ার খেলা। এমন জিনিস ক্রিকেটে নতুন নয়। নিজের ওপর বিশ্বাস আর ভরসা রাখতে হয় আর কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হয় ’। ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হন তিনি।