‘জামতাড়া গ্যাং’ ইদানিং বাংলায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই তথ্য পুলিশ পেয়েছিল। তাই তদন্ত জারি ছিল। কিন্তু কোনও ইঙ্গিত মিলছিল না। এই আবহে ব্যাঙ্কের চেকে কারচুপি করে টাকা হাপিস করার ঘটনা সামনে আসে। যার তদন্তে নেমে যে তথ্য পুলিশ হাতে পায় তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। এই গোটা প্রতারণা চক্রের নেপথ্যে কাজ করছিল ‘জামতাড়া গ্যাং’। গোটা অপারেশন চলছিল উত্তরপ্রদেশ থেকে। আর এখানে কলকাঠি নাড়ছিল ওই গ্যাংয়ের এক মাথা। যে ধরা পড়ে গিয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থেকে।
কেমন করে চলত এই প্রতারণা? পুলিশ সূত্রে খবর, এই ‘জামতাড়া গ্যাং’ সুকৌশলে ব্যাঙ্কে জমা পড়া চেক চুরি করত। আর ওই চেকে থাকা নাম উধাও করে দিয়ে সেখানে নিজেদের পরিচিত নাম লিখে ফের জমা করত। সুতরাং যে ব্যক্তি চেকের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়েছেন অথবা অন্যের থেকে পাওয়া চেক নিজের অ্যাকাউন্টে জমা দিতেন সেটাতেই নাম পরিবর্তন করে ওই গ্যাংয়ের মাথার নাম লিখে দেওয়া হতো। সঙ্গে যে স্লিপ দেওয়া হতো সেখানে থাকত টাকা কোথায় যাবে সেই তথ্য। এভাবে নানা রাজ্যে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল উত্তরপ্রদেশের ‘জামতাড়া গ্যাং’। ওই গ্যাংয়েরই এক পান্ডাকে গ্রেফতার করল পুলিশ বর্ধমানে। এখন খোঁজ চলছে দলের অন্যান্য সদস্যদের। তাই চলছে দফায় দফায় জেরা।
আরও পড়ুন: এবার বিশেষ অধিবেশনের দাবি বিরোধী দলনেতার, মমতার পাল্টা কোন ইস্যুতে চর্চা চান শুভেন্দু?
কেমন করে ধরা পড়ল? ‘জামতাড়া গ্যাং’য়ের ওই মাথাকে ধরতে রাজ্য পুলিশের সাহায্য নিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। আর তাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশই। বর্ধমানে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিল ‘জামতাড়া গ্যাং’য়ের সদস্যরা। অসামাজিক কাজকর্ম এখান থেকেই চলত। আর্থিক প্রতারণা কাজটাই মুখ্য ছিল। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে যায় দিল্লির সাইবার পুলিশ। তারপর বর্ধমানে হানা দেয়। এখান থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে বিস্তর সিমকার্ড এবং মোবাইল। এই তিনজন প্রতারকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এবার বর্ধমানের ডেরা থেকে ধরা পড়ল তারা।