বলিউডে ফের খারাপ খবর। প্রয়াত অভিনেতা মুকুল দেব। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। হিন্দি, পাঞ্জাবি, দক্ষিণ ভারতীয় ছবি ও টেলিভিশনেরও জনপ্রিয় মুখ ছিলেন মুকুল দেব। জানা যাচ্ছে, বেশকিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান মনোজ বাজপেয়ী।
এই মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অভিনেতা বিন্দু দারা সিং। তিনি টুইটে লেখেন, ‘শান্তিতে ঘুমাও ভাই মুকুল দেব। আপনার সঙ্গে কাটানো সময়গুলি সর্বদা লালিত হবে এবং #SonOfSardaar2 হবে আপনার জীবনের গান, যেখানে আপনি দর্শকদের মধ্যে আনন্দ এবং খুশি ছড়িয়ে দেবেন এবং তাঁরা হাসতে হাসতে মাটিতে লুটিয়ে পড়বে।’
ইন্ডিয়া টুডেকে মুকুল দেবের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন বিন্দু। তিনি বলেন 'বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর মুকুল নিজেকে বন্দি রেখেছিলেন। এমনকি তিনি বাড়ির বাইরে সেভাবে বের হতেন না। কারও সঙ্গে দেখাও করতেন না। গত কয়েকদিন ধরে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। তখন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁর ভাই এবং যাঁরা তাঁকে জানতেন এবং ভালোবাসতেন তাঁদের সকলের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। তিনি একজন চমৎকার মানুষ ছিলেন এবং আমরা সবাই তাঁকে মিস করব।'
অভিনেত্রী দীপিকা নাগপালও এই খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, 'এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে মুকুল আর নেই।'
মনোজ বাজপেয়ী টুইট করেন, ‘আমার এই মুহূর্তে ঠিক কী অনুভূতি হচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। মুকুল ছিলেন আমার আত্মিক ভাই। শিল্পী হিসাহে ওর উষ্ণতা ও আবেগ ছিল অতুলনীয়। খুব তাড়াতাড়ি চলে গেল, খুব অল্প বয়সে। ওর পরিবারের এই ক্ষতিতে শোকাহত। প্রত্যেকের জন্যপ্রার্থনা করছি। মিস ইউ মেরি জান... যতক্ষণ না আমাদের আবার দেখা হয়, ওম শান্তি।’
মুকুল দেব-এর জন্ম ১৯৭০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এক পাঞ্জাবি পরিবারে। তিনি একজন ভারতীয় অভিনেতা ছিলেন যিনি হিন্দি, পাঞ্জাবি, তেলুগু, তামিল, কন্নড়, বাংলা এবং মালয়ালম ছবিতে অভিনয় করেছেন। আবার একই সঙ্গে টেলিভিশনেও কাজ করেছেন। ১৯৯৬ সালে টিভি সিরিজ ‘মুমকিন’ দিয়ে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু হয়। আবার ওই একই বছর 'দস্তক' ছবিতে সুস্মিতা সেনের সঙ্গে অভিনয় করে তিনি সিনেমার দুনিয়ায় পা রাখেন। পরবর্তী সময়ে ‘ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা’, ‘সন অফ সর্দার,’ ‘আর... রাজকুমার’, এবং ‘জয় হো’-র মতো ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। আবার তিনি ‘আওয়ারা’, ‘বচ্চন’, ‘সুলতান: দ্য স্যাভিয়ার’-এর মতো বাংলা ছবিতে জিৎ-এর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন।
দিল্লির সেন্ট কলম্বাস স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন মুকুল রায়। তাঁর ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ অ্যাভিয়েশন থেকে বিমান চালনাও শিখেছিলেন তিনি।