ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটে একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে দুই কিংবদন্তীর একসঙ্গে বিদায়ের জেরে। এই মাসের শুরুতে, ভারতের দুই ক্রিকেটার রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি টেস্ট থেকে অবসর নেন। এরপরেই ভারতীয় দলের টপ অর্ডার থেকে নেতা বেছে নেওয়ার গুরুদায়িত্ব এসে বর্তায় গৌতম গম্ভীর, অজিত আগরকরদের ওপরে। শনিবারই বিসিসিআইয়ের সদর দফরে ইংল্য়ান্ড সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করে দিল ভারতীয় নির্বাচক কমিটি। তেমন কোনও অপ্রত্যাশিত কিছুই হয়নি। শুভমন গিলই প্রত্যাশিতভাবে অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন, ঋষভ পন্তকেই ভাইস ক্যাপ্টেন করা হয়েছে ভারতীয় টেস্ট দলের। মহম্মদ শামির সুযোগ হয়নি স্কোয়াডে। এদিকে গত সিরিজের হর্ষিত রানা বাদ পড়েছেন এই স্কোয়াড থেকে।
ভারতীয় টেস্ট দলে ২ নতুন মুখের যেমন আগমন ঘটেছে, তেমনই ২০১৭ সালে শেষবার ভারতীয় টেস্ট জার্সিতে খেলা করুণ নায়ারের প্রত্যাবর্তন ঘটেছে এই সিরিজে। দ্বিতীয়বার নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পাবেন বিদর্ভের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার। আর শামি-রানার অনুপস্থিতিতে বাড়তি দায়িত্ব থাকবে বাঁহাতি পেসার আর্শদীপের ওপর।
অর্শদীপ সিং
সাদা বলের ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে বারবার নজর কেড়েছেন আর্শদীপ সিং। সেকথা মাথায় রেখেই তাঁকে লাল বলের ক্রিকেটেও একটা সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআইয়ের নির্বাচকরা। আসলে আর্শদীপের বয়স কম, ফিটনেস ভালো। তাই তাঁকে দিয়ে বোলিং করানো যাবে দীর্ঘ স্পেল। সেই জন্যই এই বাঁহাতি পেসারকে দলে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই টি২০ বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছেন পঞ্জাব তনয়। এবারের আইপিএলেও ১২ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাঁর সিম মুভমেন্ট ইংল্যান্ডে কাজে লাগতে পারে বলেই ধারণা ভারতীয় ক্রিকেটমহলের
সাই সুদর্শন
ভারতের উজ্জ্বলতম তরুণ ব্যাটিং প্রতিভাদের মধ্যে সাই সুদর্শন সাম্প্রতিককালে সব থেকে বেশি নজর কেড়েছেন। আইপিএলে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে রয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ওপেনিং করতে পারেন, প্রয়োজনে মিডল অর্ডারেও খেলতে পারেন এই প্রতিভাবান ব্যাটার। ঘরোয়া ক্রিকেটে মাত্র ৩ ম্যাচে খেলেই করেছেন দ্বিশতরান। ভারতীয় এ দলের হয়ে আগেই সুযোগ পেয়েছিলেন, এবার একেবারে জাতীয় দলে খেলার হাতছানি তাঁর সামনে।
করুণ নায়ার
করুণ নায়ার ভারতীয় ক্রিকেটের সেই ক্রিকেটার, যার প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও প্রাপ্য সুযোগ এতদিন পাননি। ২০১৬ সালে, বীরেন্দ্র সেহওয়াগের পর দ্বিতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ত্রিশতরান করেন করুণ। চেন্নাইতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ ৩০৩* রানের ইনিংস খেলেছিলেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি দলের বাইরে চলে যান এবং ২০১৭ সালের পর পুরোই দল থেকে বাদ পড়েন। ৮ বছর পর জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে তাঁর। সদ্য সমাপ্ত রঞ্জি ট্রফিতে ৫৩.৯৩ গড়ে ৮৬৩ রান করেন করুণ, যার মধ্যে চারটি সেঞ্চুরি ছিল। বিজয় হাজারে ট্রফিতে ৭৭৯ রানসহ পাঁচটি সেঞ্চুরি করেন। এছাড়াও কাউন্টি ক্রিকেটেও তিনি সম্প্রতি খেলেছেন। তাই বিরাট-রোহিতের অনুপস্থিতিতে করুণের ব্যাটের ওপর নজর থাকবে সকলের।