শ্রীলঙ্কার নতুন তারকা ব্যাটসম্যান কামিন্দু মেন্ডিস। সেপ্টেম্বর মাসে ব্যাট হাতে অনবদ্য পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন তিনি। ICC-র নিরিখে সেপ্টেম্বর মাসের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে নির্বাচিত হলেন কামিন্দু। সোমবার এই ঘোষণা করা হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে ৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন কামিন্দু। রান করেন ৪৫১, গড় ৯০.২০। তাঁর অনবদ্য ব্যাটিংয়ের কারণে ওভালে ইংল্যান্ডকে পরাস্ত করে শ্রীলঙ্কা। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ জয়ের পিছনেও বড় ভূমিকা পালন করেন মেন্ডিস। তিনি গতমাসে দু’টি শতরানও করেছেন।
ICC এক স্টেটমেন্টে জানায়, ‘একজন উঠতি শ্রীলঙ্কার টেস্ট তারকা ২০২৪ সালে দু’বার ICC মেনস প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ অ্যাওয়ার্ড জেতা প্রথম খেলোয়াড় হয়েছেন৷ কামিন্দু মেন্ডিস শ্রীলঙ্কার সতীর্থ প্রবথ জয়সূর্য এবং অস্ট্রেলিয়ার ট্র্যাভিস হেডেকে পিছনে ফেলে সেপ্টেম্বর মাসের এই শিরোপা জয় করেছেন, এর আগে এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান বছরের শুরুতে মার্চ মাসে আরও একবার এই অ্যাওয়ার্ড জয় করেছিলেন’। কামিন্দু এই শিরোপা পেয়ে খুবই খুশি। তিনি ইতিমধ্যেই নিজের ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে বিশ্বক্রিকেটে নিজের সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আবারও ICC মেনস প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ নির্বাচিত হতে পেরে গর্বিত। এই পুরষ্কার আমার জন্য প্রচুর আনন্দ এবং গর্ব নিয়ে এসেছে। আমি বিশ্বাস করি খেলোয়াড় হওয়ার জন্য যে সমস্ত কঠোর পরিশ্রম করেছিলাম তাঁর সফলতা প্রমাণ করে আন্তর্জাতিক স্তরে এই লাগাতার স্বীকৃতি’।
তিনি আরও বলেন, ‘এই স্বীকৃতি আমাকে ক্রিকেটের মাঠে আমার ভাল কাজ চালিয়ে যেতে এবং আরও বড় কিছু অর্জনের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য আরও শক্তি দেবে। একইভাবে আমার দলকে ম্যাচ জিততে এবং আমাদের দেশের গৌরব ফিরিয়ে এনে সমর্থকদের খুশি করার শক্তিও দেবে’। সেপ্টেম্বর মাসে কামিন্দু প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে নিজের প্রথম ৮ টেস্ট ম্যাচের সবকটিতে ৫০ বা তার বেশি রান করার রেকর্ড অর্জন করেন। গতমাসে তিনি ৭৫ বছরের মধ্যে দ্রুততম ব্যাটার হিসেবে ১০০০ টেস্ট রান সংগ্রহ করেন। মাত্র ৮টি টেস্টের ১৩ ইনিংসে এই ল্যান্ডমার্কে পৌঁছে ডন ব্র্যাডম্যানকে ছুঁয়ে ফেলেন কামিন্দু। সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর সবচেয়ে বড় স্কোর ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে। তিনি সেই ইনিংসে ১৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন, এর ফলে শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেট হারিয়ে ৬০২ রানের বিশাল স্কোর করতে সক্ষম হয়েছিল। সেই সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেও কামিন্দু ১১৪ রান করেছিলেন। যেটি আরও বেশি আকর্ষক ছিল বলে মনে করেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।