জাল ওষুধের রমরমা রুখতে আরও কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। পাইকারি বা হোলসেলার্সদের ওষুধ কেনার সময় বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। এই মর্মে ৬ দফা নির্দেশিকা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ ড্রাগস কন্ট্রোল বিভাগ। ওষুধ কেনার সময় পাইকারি বিক্রেতাদের বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, দোকানে জাল ওষুধ বিক্রি হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে এবার ওষুধের দোকানগুলি পরিদর্শন করবেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুন: বাজারে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল ওষুধ! কীভাবে চিনবেন আসল-নকল?
ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের তরফে জারি করা পরামর্শে বলা হয়েছে, প্রস্তুতকারক কোম্পানি থেকে সঠিক চ্যানেল মারফত ওষুধ আসছে কি না সেবিষয়টি নিশ্চিত করবেন পাইকারি বিক্রেতারা। হবে, তারা যেসব ওষুধ কিনছেন, তা মূল কোম্পানির থেকে যথাযথ চ্যানেল মারফত এসেছে কিনা। এছাড়া, পাইকারি বিক্রেতারা যাদের কাছ থেকে ওষুধ কিনছেন তাদের লাইসেন্সের বৈধতা খতিয়ে দেখবেন। অনলাইন লাইসেন্স পোর্টালে গিয়ে সেই লাইসেন্সের বৈধতা খতিয়ে দেখতে হবে। এছাড়া, রাজ্যের বাইরে কোনও ডিস্ট্রিবিউটারদের কাছে ওষুধ কেনার সময় তাদের লাইসেন্সও খতিয়ে দেখতে হবে। ওষুধ তৈরির সময়ও জেনে নিতে হবে। যাচাই করতে হবে হোলসেলারদের জিএসটি নম্বর।
অন্যদিকে, খুচরো বিক্রেতাদের ক্ষেত্রেও কিছু নির্দেশ জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাজ্যের বাইরের কোনও পাইকারি বিক্রেতার কাছ থেকে ওষুধ কেনার সময় ওষুধ যাচাই করে নিতে হবে। অ্যাকাউন্ট নম্বরের পাশে থাকা নাম ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে মিলছে কি না অথবা জিএসটি নম্বর আছে কি না। তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।শিডিউল এইচ২-তে অন্তর্ভুক্ত থাকা ৩০০টি ওষুধের কিউআর কোড বাধ্যতামূলকভাবে যাচাই করতে বলা হয়েছে খুচরো বিক্রেতাদের।
প্রসঙ্গত, চোরাগোপ্তা ভাবে চলছে জাল ওষুধ বা গুণগত মানে পিছিয়ে থাকা ওষুধের কারবার। এনিয়ে ধরপাকড় জারি রেখেছে প্রশাসন। সম্প্রতি হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনার মতো জায়গা থেকে জাল ওষুধ উদ্ধার হয়েছে। তাই এবার ওষুধের ভেজাল কারবার রুখতে নবান্নের তরফে আধিকারিকদের দোকানে দোকানে হানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খতিয়ে দেখার পর রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে।