মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ আশঙ্কা প্রকাশ করে জানায় বাস টার্মিনাস, মেট্রো প্রকল্পের মতো জনস্বার্থমূলক কাজ যেমন প্রয়োজন তেমনি জনস্বার্থে মানুষের জন্য পার্ক থাকাও প্রয়োজন।
সেন্ট্রাল পার্ক।
বিধাননগরের ‘ফুসফুস’ হিসেবে পরিচিত সেন্ট্রাল পার্ক। তবে বিভিন্ন নির্মাণ কাজের ফলে সেন্ট্রাল পার্কের পরিধিও কমে যাচ্ছে। সেই সংক্রান্ত মামলায় এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিল সেন্ট্রাল পার্কে আর কোনও নির্মাণ কাজ করা যাবে না। বিশেষ করে মেট্রো রেল প্রকল্পের জন্য সেখানে আর নতুন করে নির্মাণ কাজ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ আশঙ্কা প্রকাশ করে জানায় বাস টার্মিনাস, মেট্রো প্রকল্পের মতো জনস্বার্থমূলক কাজ যেমন প্রয়োজন তেমনি জনস্বার্থে মানুষের জন্য পার্ক থাকাও প্রয়োজন। কলকাতা হাইকোর্টে এনিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আইনজীবী অরুণাংশ চক্রবর্তী। তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন, আগে এই পার্কের পরিধি ছিল ১৫৩ একর। পার্কের মধ্যে অনেক সবুজ গাছ এবং জলাশয় রয়েছে, যা আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে ক্রমে সেই পার্কের পরিধি কমতে শুরু করেছে। সেখানে একাধিক স্থায়ী নির্মাণ তৈরি হয়েছে। মেট্রো প্রকল্পের কাজে চলছে সেখানে। এছাড়া বাস টার্মিনাসও গড়ে উঠেছে। তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী, পার্কের মধ্যে দোতলার নির্মাণ করা যায় না। কিন্তু, তা করা হয়েছে। এমন চলতে থাকলে পার্কের অস্তিত্ব নিয়েই আশঙ্কা প্রকাশ করেন আইনজীবী। সেই সংক্রান্ত মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘এভাবে নির্মাণ চলতে থাকলে একসময় পার্কের অস্তিত্ব থাকবে না।’ এরপরে পার্কে নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে হাইকোর্ট। বিধাননগর পুরসভাকে ওই এলাকায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি বর্তমানে পার্কে মোট কত জায়গা রয়েছে? কটি বাড়ি রয়েছে? কত ফাঁকা জায়গা আছে? তা নিয়েও বিধানগর পুরসভার কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।