ওসিকে পিটিয়ে আঙুল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার আরেক ওসি। রাজ্যে বোধ হয় এটাই দেখা বাকি ছিল। শুধু ওসি নয়, চিকিৎসক ও নার্সদেরও মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই ওসির বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ওসির স্ত্রীসহ আরও ৫ জন। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুলিশমহলে। ওদিকে এই ঘটনার জন্য অভিযুক্ত ওসি আসরাফউলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বাহিনী থেকে।
আরও পড়ুন - জানা গেল ট্যাংরায় নিহতদের নাম, ক্রমশ জোরাল হচ্ছে খুনের তত্ত্ব
পড়তে থাকুন - ওসিকে পিটিয়ে গ্রেফতার আরেক ওসি, চাঞ্চল্য পুলিশমহলে
জানা গিয়েছে, বীরভূম ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ওসি আসরাফুল সম্প্রতি ছুটি নিয়ে মুর্শিদাবাদের লালগোলায় নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে মঙ্গলবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন আসরাফুলের মা। তাঁকে নিয়ে রাতে কৃষ্ণপুর হাসপাতালে যান আসরাফুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ সেই সময় মত্ত অবস্থায় ছিলেন আসরাফুল। হাসপাতালে পৌঁছেই চিকিৎসক ও নার্সদের হুমকি দিতে থাকেন তিনি। হাসপাতালের জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এমনকী চিকিৎসক ও নার্সদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন লালগোলা থানার ওসি অতনু হালদার। সঙ্গে ছিলেন পুলিশকর্মীরা। অভিযোগ, তাঁদের ওপরেও চড়াও হয় আসরাফউল ও তার পরিবার। অভিযোগ ওসি অতনু হালদারের গলা টিপে ধরে আসরাফুল। আসরাফউলের মারে ASI কল্যাণ সিং রায়ের আঙুল ভেঙে গিয়েছে। এছাড়া সঙ্গে থাকা ২ সিভিক ভলান্টিয়ারকে বাঁশ দিয়ে পেটানো হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন - স্কুলের মধ্যে ২ ছাত্রের মারামারি, সহপাঠীর ঘুসিতে মৃত্যু হল ১ জনের
ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশ মহলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পত্রপাঠ আসরাফউলকে সাসপেন্ড করেন বীরভূমের পুলিশ সুপার অমনদীপ। এর পর গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক, তাঁর স্ত্রীসহ ৬ জনকে। তাদের বুধবার লালবাগ আদালতে তোলা হয়েছে।
এই ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘এরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া জাল OBC সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরি পেয়েছে। এখন পুলিশের উর্দি পরে গুন্ডামি করে বেড়াচ্ছে। একে তো দুধেল গাই, তার ওপরে পুলিশ। এরা তো পুলিশেরও ওপরে। এরাজ্যে হিন্দু ওসিরও সুরক্ষিত নন।’