শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় উত্তরবঙ্গের ৮জেলার প্রশাসনকে নিয়ে বৈঠক করেছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। প্রশাসনিক বৈঠক। সেখানে সীমান্তের সুরক্ষা থেকে পুলিশের গ্রুপবাজি, ভেজাল ওষুধ থেকে শুরু করে সরকারি নানা প্রকল্পের হাল নিয়ে জানতে চান মুখ্য়মন্ত্রী।
মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়ে দেন, বিভিন্ন সংস্থার নামে ৫০-৫৫টি ভেজাল ওষুধ ঢুকে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তার তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। তবে সেই তালিকায় থাকা ওষুধ যাতে সরকারি হাসপাতালে ব্যবহার করা না হয় সেব্যাপারে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
জাল স্যালাইন নিয়ে কিছুদিন আগেই তোলপাড় হয়েছিল বাংলা। এবার সামনে এসেছে ভেজাল ওষুধের প্রসঙ্গ। তবে এবার ভেজাল ওষুধ নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করলেন মমতা। সেই সঙ্গেই সাধারণ মানুষ এই ভেজাল ওষুধ থেকে কীভাবে রেহাই পাবেন, কীভাবে আসল ওষুধটা কিনবেন সেই পরামর্শও তিনি দেন।
ভেজাল ওষুধ নিয়ে কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়?
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় স্বাস্থ্য় আধিকারিকদের নির্দেশ দেন যাতে সারপ্রাইজ ভিজিট করা হয়। ভেজাল ওষুধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্প্রতি যে ভেজাল ওষুধগুলো এসেছে, বিভিন্ন রাজ্য থেকে, আমরা বিজ্ঞাপন দিয়ে সেই ওষুধগুলোর নাম বলেছি, সেটা কি আপনারা সব জায়গায় জানিয়েছেন! প্রত্যেকটা ওষুধের দোকানে বলুন ওটা টাঙাতে। সরকারি হাসপাতালে যেন এই ওষুধগুলো ব্যবহার করা না হয়। সম্প্রতি যে ৫০-৫৫টা এসেছে। গুজরাট ও ইউপি থেকে ভেজাল ওষুধ। সেই কোম্পানিগুলোর নাম নিয়ে এসে ওষুধের নাম দিয়ে কাগজে অ্য়াড করা হয়েছে। এখন তো আপনারা হোয়াটস অ্য়াপে ফটো কপি করে নিয়ে যেতে পারেন। যখন ওষুধ কিনতে যাবেন দেখে নিন আপনি সেই ওষুধ ( ভেজাল ওষুধ) কিনছেন কি না।
রাজ্যবাসীকে এভাবেই সচেতন করে দেন মুখ্য়মন্ত্রী। কেউ যাতে এই ধরনের ওষুধ ভুল করেও কিনে না ফেলেন সেকারণে যে তালিকা দিয়েছিল সরকার তার একটা কপি ফোনে রেখে দিতে পারেন সাধারণ মানুষ। ওষুধ যখন কিনবেন তখন একবার মিলিয়ে দেখে নেওয়া যেতে পারে তিনি যে ওষুধ কিনছেন সেটা যেন ওই ভেজাল ওষুধ না হয়। কার্যত কোনটা জাল ওষুধ আর কোনটা জাল ওষুধ নয়, এনিয়ে বিভ্রান্তি থাকে সাধারণ মানুষের মধ্য়ে। তবে এবার নয়া উদ্যোগ নেওয়া হল। সেখানে সাধারণ মানুষ সেই ভেজাল ওষুধের তালিকা ফোনে রেখে দিতে পারেন। ওষুধের দোকানে সেটা মিলিয়ে নিতে পারেন। এতে সংশয় দূর হবে।