পহেলগাঁওয়ের মতো মুর্শিদাবাদেও বেছে বেছে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। মুর্শিদাবাদ হিংসার তদন্তে কলকাতা হাইকোর্ট গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর এমনই দাবি করল বিজেপি। বুধবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে দলের মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের নির্দেশ হিংসা হয়েছে। রীতিমতো ধর্ম ও সম্প্রদায় দেখে হিংসা হয়েছে।
এদিন সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, ‘আদালত গঠিত কমিটি গত ১১ এপ্রিল থেকে মুর্শিদাবাদে যে হিংসা হয়েছে তার ওপর যে পর্যবেক্ষণ রেখেছেন তাতে তৃণমূল কংগ্রেস ও ইন্ডি জোটের মুখোশ খুলে গিয়েছে। যারা বলছিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করার কী দরকার ছিল? শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক। তাদের মধ্যে কিন্তু কেউ বলেননি, আপনার কোনও বিষয় নিয়ে অসন্তোষ থাকলে মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করার দরকার কী? হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের মৃত্যুর পর কেউ একটা শব্দও বলেনি। তারাই হঠাৎ অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে শুরু করে দিলেন।
একটা কথা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, হিংসার চেহারা যেমনই হোক না কেন, রাজনীতির চেহারা যেমনই হোক না কেন, আক্রমণ শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপরেই হয়।’
তিনি বলেন, ‘পহেলগাঁওতে যেমন বেছে বেছে হিন্দুদের হত্যা করা হয়েছে, তেমন মুর্শিদাবাদে বেছে বেছে হিন্দুদের ঘর, বাড়ি ও মানুষদের মারার চেষ্টা করা হয়েছে। এর পর আর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে একথা বলার আর মুখ নেই যে সেখানে হিংসা হয়নি। এখন স্পষ্ট যে ওখানে হিংসা হয়েছে। পরিকল্পিত হিংসা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের নির্দেশ হিংসা হয়েছে। রীতিমতো ধর্ম ও সম্প্রদায় দেখে হিংসা হয়েছে।’
এর পরই সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চাই, কখন ওনার মমতাময়ী হৃদয়ে করুণা জাগবে আর উনি এই নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবেন?’