মহারাষ্ট্র জুড়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারীদের ঘিরে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ। এই অভিযানে পুলিশ সঙ্গী হিসাবে নিয়েছে অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াডকেও(এটিএস)। এটিএসকে সঙ্গে নিয়ে সদ্য এক অভিযানে নামে মহারাষ্ট্র পুলিশ। মুম্বই সহ মহারাষ্ট্রের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। আর তারপরই ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করার অভিযোগে ১৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়।
সদ্য মহারাষ্ট্রের মুম্বই, নভি মুম্বই, থানে, নাসিকে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ ও এটিএস। তারপর ১৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক ধরা পড়ে। এই ১৭ জনের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলা রয়েছেন। জানা যাচ্ছে, পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে তাদের হদিশ পায়। ধৃতদের কাছে ভারতে আসা বা থাকা নিয়ে কোনও বৈধ নথি মেলেনি। তারপরই তাদের গ্রেফতার করা হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর বলছে, এক অফিশিয়াল জানিয়েছেন,' স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় এই সপ্তাহে মুম্বই, নাভি মুম্বই, থানে এবং নাসিক শহরে অভিযান চালায় এটিএস। অনুমতি ছাড়া ভারতে প্রবেশ করা এবং বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই দেশে থাকার অভিযোগে ১৪ জন পুরুষ ও তিনজন মহিলা সহ অন্তত ১৭ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।'
( IRCTC website app down: আইআরসিটিসি- র ওয়েবসাইট, অ্যাপ ‘ডাউন’ হতেই বিপত্তি! দেশ জুড়ে টিকিট বুকিংএ ভোগান্তি)
( Shanidev Nakshatra Parivartan: রাত পোহালেই শনিদেবের নক্ষত্র গোচর! চাকরি, ব্যবসায় সুখের মুখ দেখবেন অনেকে, লাকি কারা?)
তদন্তকারীরা বলছেন, ধৃতরা জাল নথি ব্যবহার করেছে। আর তা ব্যবহার করেই দিনের পর দিন মহারাষ্ট্রে থাকছিল। আধার কার্ড ও প্যান কার্ডের জাল নথি ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে ওই ধৃত ১৭ জনের বিরুদ্ধে। ফরেনার্স অ্যাক্ট ১৯৪৬, পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৫০, পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৭ এর আওতায় অন্তত ১০ টি কেস দায়ের হয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে।
এর আগে, ত্রিপুরা থেকে একাধিক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে অবৈধভাবে ভারতে থাকার জন্য। সদ্য ত্রিপুরার আগরতলা থেকে ৩ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছে ভারতে বসবাসের বৈধ নথি না থাকায় গ্রেফতার করা হয়। ওই ৩ বাংলাদেশিরা আগরতলা থেকে কলকাতায় পৌঁছবেন বলে প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল। তারপরই আগরতলা রেলস্টেশনে তাদের গ্রেফতার করা হয়।