প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার বিশ্বের উচ্চতম রেল সেতু উদ্বোধন করলেন আজ। ভারতের রেল পরিকাঠামোর যাত্রায় একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক এই চেনাব রেল সেতু। উধমপুরে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে নামার পর প্রধানমন্ত্রী মোদী চেনাব ব্রিজ সাইটে উড়ে যান আজ। সেখানে তিনি সেতুটি ঘুরে দেখেন। চেনাব সেতু এবং অন্যান্য প্রকল্প উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এই সংযোগ কাশ্মীরে গতিশীলতা পরিবর্তন করবে, সমৃদ্ধি আনবে এবং কাশ্মীরের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে।' (আরও পড়ুন: মাস্ক-ট্রাম্প দ্বন্দ্বে ১৪% পতন টেসলার শেয়ারে, একদিনে হাওয়া ১৫৩ বিলিয়ন ডলার)
আরও পড়ুন: অ্যাকশন মোডে বেঙ্গালুরু পুলিশ, পদপিষ্ট কাণ্ডে গ্রেফতার RCB-র উচ্চপদস্থ কর্তা
আরও পড়ুন: কিংফিশার ঋণ জালিয়াতি কাণ্ডে ঘুরিয়ে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে দোষ দিলেন বিজয় মালিয়া?
উল্লেখ্য, প্যারিসের আইফেল টাওয়ার থেকেও ৩৫ মিটার উঁচু চেনাব ব্রিজ। এই ব্রিজের মাধ্যমেই ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন হবে কাশ্মীরের। এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল ব্রিজ। এই বন্দে ভারতটি এই ব্রিজের ওপর দিয়েও ছুটবে। এই ব্রিজ তৈরি করতে খরচ হয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। পৃথিবীর উচ্চতম রেল ব্রিজে মোট ১৭ টি পিলার রয়েছে। ১৪৮৪ কোটি টাকার ইস্পাত ব্যবহার হয়েছে এই সেতু তৈরিতে। এই সেতুতে এইচ বিমের ওপরেই বসেছে রেললাইন। এই বিমগুলো যাচ্ছে কলকাতা থেকে। ১৬০০ মিটার রেল লাইন বসাতে ২৫০০ এইচ বিম যায় কলকাতা থেকে। (আরও পড়ুন: রেপো রেট কমানোর হ্যাটট্রিক RBI-এর, সঙ্গে ক্যাশ রিজার্ভ রেশিওতেও কাটছাঁট)
আরও পড়ুন: এবার ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের দাবি মাস্কের, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ইলন দেখতে চান…
আরও পড়ুন: অপারেশন ব্লু স্টারের বর্ষপূর্তিতে 'খলিস্তান জিন্দাবাদ' স্লোগান স্বর্ণমন্দিরে
অপরদিকে উধমপুর থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পে আরও এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘুঁটি ছিল অঞ্জি খাদ রেল সেতু। উল্লেখ্য, একটি মাত্র স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এই অঞ্জি খাদ সেতু। জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় এই সেতুটি রয়েছে। এর উপর দিয়ে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে পারবে ট্রেন। উধমপুর থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের অধীনে এই রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই রেল প্রকল্পটি নিয়ন্ত্রণ রেখা পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। জানা গিয়েছে, অঞ্জি খাদ সেতুটি ১৫ মিটার চওড়া। মূল বিস্তৃতি ২৯০ মিটার। এই সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৪৭৩.২৫ মিটার। একটি মাত্র স্তম্ভ ধরে রেখেছে সেতুটিকে। ভিত থেকে তার উচ্চতা ১৯৩ মিটার। নদীগর্ভে আরও ৩৩১ মিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত স্তম্ভটি। এই স্তম্ভের সঙ্গে ৯৬টি কেবলের সাহায্যে সেতুটিকে শূন্যে রীতিমতো ভাসিয়ে রাখা হয়েছে। এদিকে এই সাসপেনশন ব্রিজকে যে তার বা কেবলগুলি শূন্যে ভাসিয়ে রেখেছে, সেগুলির দৈর্ঘ্য ৮২ মিটার থেকে ২৯৫ মিটার। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই কেবলগুলির সম্মিলিত দৈর্ঘ্য হল ৬৫৩ কিলোমিটার। দাবি করা হচ্ছে, ৪০ কেজি বিস্ফোরকও এই সেতুটিকে উড়িয়ে দিতে পারবে না। ঘণ্টায় ২১৩ কিলোমিটার বেগে আসা ঝড়ও সেতুটিকে নাড়াতে পারবে না।