হিন্দু ধর্মে দেবশয়নী একাদশীর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এবার দেবশয়নী একাদশী ৬ জুলা রবিবার পড়েছে। দেবশয়নী একাদশীর দিনে উপবাসের রীতি আছে। তাই আষাঢ় শুক্লা একাদশীতে এই উপবাস পালন করা হবে। এই দিন থেকে ভগবান বিষ্ণু চার মাসের জন্য যোগ নিদ্রায় প্রবেশ করবেন।
দেবশয়নী একাদশীর তাৎপর্য এবং পৌরাণিক কাহিনী
দেবশয়নী একাদশীর উপবাস ৬ জুলাই ২০২৫ তারিখে পালিত হবে। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, এই দিন উপবাস করলে বহু জন্মের পাপ নষ্ট হয়। কারণ একাদশী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অত্যন্ত প্রিয়। এই একাদশী থেকে পরবর্তী ৪ মাস পর্যন্ত, ভগবান শ্রী বিষ্ণু ক্ষীরসাগরে ধ্যান যোগ নিদ্রায় শয়ন করেন।
আরও পড়ুন - শ্রাবণ মাসে শুরুর আগে ঘরে আনুন এইসব জিনিস, শিবের আশীর্বাদ বিরাজ করবে সংসারে
প্রাচীনকালে রঘুবংশের এক রাজা ছিলেন যার নাম ছিল মহারাজ মান্ধাতা । মহারাজ মান্ধাতা তাঁর প্রজাদের খুব পছন্দ করতেন কারণ তিনি সকলকে সাহায্য করতেন। মহারাজ মান্ধাতার রাজ্যে তিন বছর ধরে বৃষ্টি হয়নি, তারপর রাজার মনে হয়েছিল যে তার পাপের কারণে রাজ্যের প্রজারা খরার সম্মুখীন হচ্ছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মহারাজ মান্ধাতা বনে চলে যান। বনে তিনি অঙ্গির ঋষির সাথে দেখা করেন । অঙ্গিরা ঋষি ছিলেন ব্রহ্মার পুত্র। তিনি মহারাজকে পুরো পরিবার এবং প্রজাদের সাথে দেবশয়নী একাদশীর উপবাস পালন করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন - এই ৫ জ্যোতিষশাস্ত্রীয় ব্যবস্থা করে যে কোনও ইচ্ছা পূরণ, না হওয়া কাজও হয় সম্পন্ন
এরপর, ঋষি অঙ্গিরার উপদেশ অনুসরণ করে, রাজা পুরো পরিবার এবং প্রজাদের সাথে দেবশয়নী একাদশীতে উপবাস করেন এবং নিয়মিত পূজাও করেন। এর পরে, রাজা মান্ধাতার রাজ্যে বৃষ্টিপাত হয়। রাজা এবং প্রজা উভয়ই খুশি হন। দেবশয়নী একাদশী উপলক্ষে হাজার হাজার ভক্ত মহারাষ্ট্রের পন্ধরপুরে যান শ্রী হরি বিঠল দর্শনের জন্য।
দেবশয়নী একাদশী উপলক্ষে জানুন এই নিয়ম
- একাদশী উপলক্ষে আমাদের সকলেরই উপবাস পালন করা উচিত।
- ঈশ্বরের নাম জপ করো।
- এই দিনে দান করারও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
- ভগবানের মন্ত্র জপ করুন।
- ধর্মীয় গল্প এবং স্তোত্র শুনুন।
- দেবশয়নীর দিন অন্তত একবার হনুমান চালিশা পাঠ করা উচিত।