বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলারের নাম প্যাট কামিন্স। অধিনায়ক হিসেবে তিনি জিতেছেন বিশ্বকাপ। নিজের কেরিয়ারের ট্রফি ভাঁড়ার তাঁর পূর্ণ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ছাড়া প্রায় সব আইসিসি ইভেন্টের ট্রফিই তাঁর পকেটে রয়েছে। কিন্তু স্রেফ বোলার হিসেবে নয়, কামিন্স যে ফিল্ডার হিসেবেও দুর্দান্ত সেটারই আরও একটা প্রমাণ পাওয়া গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে।
এমনিতে ইংল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশের বিরুদ্ধেই কামিন্সের ব্যাটিং পারফরমেন্সের প্রমাণও অতীতে পাওয়া গেছে। ফলে তিনি যে ব্যাটিং করতে পারেন, সেকথাও সকলেরই জানা ছিল। কিন্তু তিনি যে অস্ট্রেলিয়ান। আর অস্ট্রেলিয়ান মানেই রিকি পন্টিং, ড্যারেন লেম্যান, মাইকেল ক্লার্ক, ড্যামিয়েন মার্টিনের মতো সেরার সেরা ফিল্ডাররা। এখনও যে অস্ট্রেলিয়ান দলে তেমনই ফিল্ডিংয়ের মান রয়েছে সেটাই আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন কামিন্স।
ম্যাচে নিজের স্পেলের প্রথম ওভারে বোলিং করতে এসেই দ্বিতীয় বলে দুর্দান্ত একটি উইকেট তুলে নেন অজি অধিনায়ক। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেসি কার্টিকে বোলিং করছিলেন। তাঁর ব্যাটে লাগা ইনসাইড এজ প্যাডে লেগে অন সাইডে চলে যায়, হাওয়ায়। সেটি দেখেই তা ফলো করে, পিচ থেকেই ডাইভ দিয়ে এক হাতে দুরন্ত ক্যাচ নেন কামিন্স। অজি অধিনায়কের পাখির মতো উড়ে ক্যাচ নেওয়া দেখে সকলেই অবাক হয়ে যান। পাশে থাকা ট্র্যাভিস হেড হাততালি দিতে দিতে কামিন্সকে জড়িয়ে ধরেন।
ক্যাচ নেওয়ার পর কামিন্স নিজেও বুঝতে পারেন, তিনি এক অবিশ্বাস্য কাজ করেছেন। কারণ ফাস্ট বোলাররা রান আপ থেকে বোলিং করার পর কয়েক মূহূর্তের জন্য থেমে গিয়ে থাকেন, কিন্তু কামিন্স চূড়ান্ত ফিটনেসের প্রমাণ দিয়ে বল ফলো করে এসে অনবদ্য ডাইভে ক্যাচ নিয়ে ফেলেন এক হাতে। সেই ক্যাচের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে সোশাল মিডিয়ায়।
কেসি কার্টির নেওয়ার এই ক্যাচের পর কামিন্স যেমন উচ্ছাস করছিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডানহাতি ব্যাটারটির চোখে মুখে ছিল অবিশ্বাসের ছোঁয়া। কারণ ৬ফুট ৪ ইঞ্চির দীর্ঘদেহি কামিন্সের থেকে এমন অনবদ্য অ্যাথলেটিসিজম আশাই করতে পারেননি ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারটি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ানরা যে এমনই হয়, মাঠের ভিতর। অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখান।
কামিন্সের এই ক্যাচের পরই ভারতীয় ক্রিকেটভক্তরা ঋত্বিক রোশনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, যাতে কাস্টিংয়ের সময় একবার কামিন্সের এই ক্যাচের কথা মাথায় রাখা হয়। অর্থাৎ কামিন্সকে যদি সম্ভব হয়, তাহলে Krrish 4-এ যেন সুযোগ দেওয়া হয়। ২৫৩ রানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়ে যায় টেস্টের প্রথম ইনিংসে।