মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ৫ উইকেটে ২১৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে গুজরাট টাইটানস যখন ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে, তখন সবার মনে একটাই প্রশ্নের উদয় হয়, ১০০ টপকাতে পারবে তো টাইটানস?
ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াটিয়া জুটি বেঁধে টাইটানসকে ১০০ রানের গণ্ডি পার করিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের সেই সংশয় দূর করেন। তবে ১০৩ রানের মাথায় ৮ উইকেট হারিয়ে বসা গুজরাট শিবির শেষমেশ ১৯১ রানে পৌঁছে যাবে, এটা আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব ছিল না কারও পক্ষেই। টাইটানস এমন অসাধ্য সাধন করে একমাত্র রশিদ খানের সৌজন্যে।
৮ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রশিদ খান ৩টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২১ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। গুজরাট টাইটানসের হয়ে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতরান করার নজির গড়েন আফগান তারকা। শেষমেশ ৩টি চার ও ১০টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ৭৯ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রশিদ।
মুম্বই ২৭ রানে ম্যাচ জিতলেও ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জিতে নেন রশিদ খান। কেননা ঝোড়ো অর্ধশতরান করার আগে ওয়াংখেড়ের ব্যাটিং পিচে ৪ ওভার বল করে ৩০ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেটও তুলে নেন তিনি। রশিদ আউট করেন রোহিত শর্মা, ইশান কিষাণ, নেহাল ওয়াধেরা ও টিম ডেভিডকে।
আরও পড়ুন:- MI vs GT: বল হাতে ৪ উইকেট, সঙ্গে ঝড়ের গতিতে ৭৯ রান, মুম্বই ম্যাচ জিতলেও মন জিতলেন গুজরাটের রশিদ খান
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বল হাতে চার উইকেট নেওয়ার সুবাদে তিনি চলতি আইপিএলের বেগুনি টুপির দখল নেন। তবে ব্যাট হাতে গড়ে ফেলেন দুর্দান্ত এক নজির। রশিদের আইপিএল কেরিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি এটি। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে এটিই তাঁর টি-২০ কেরিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
এমন ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলার পথে রশিদ ভেঙে দেন প্যাট কামিন্সের একটি সর্বকালীন আইপিএল রেকর্ড। আসলে আইপিএলে কোনও টেল-এন্ডার ব্যাটারের খেলা সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটি। ব্যাটিং অর্ডারের আর নম্বরে বা তারও নীচে ব্যাট করতে নেমে রশিদের থেকে বেশি রান আর কেউ করেননি।
আরও পড়ুন:- KKR vs RR: ভুল ছিল কেকেআরের পরিকল্পনায়, শুধু প্রয়োগ কৌশলে নয়, ইডেনে রাজস্থানের কাছে হারের জন্য দায়ী পণ্ডিতরাও
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।