দশ বছর পর খুলছে পানিঘাটা চা–বাগান, খুশি শ্রমিকরা, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জট কাটল

রাজ্য় সরকারের উদ্য়োগে খুলেছে উত্তরবঙ্গের একাধিক চা–বাগান। দার্জিলিংয়ে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা তিনটি চা–বাগানও খোলার সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। আলিপুরদুয়ারেও কাজ শুরু হচ্ছে একাধিক চা–বাগানের। রাজ্য শ্রম দফতরের উদ্য়োগে তাই হাসি ফুটেছে অসংখ্য় চা–বাগানের শ্রমিকদের মুখে। ১০ বছর পর এবার খুলছে পানিঘাটা চা–বাগান। তার জেরে আবার এখানে কাজে ফিরবেন শ্রমিকরা। মঙ্গলবার দিনই হয়েছে চুক্তি। তৃণমূল কংগ্রেসের চা–বাগান শ্রমিক ইউনিয়ন–সহ আরও কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনও এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।এদিকে চুক্তিপত্রেই উল্লেখ করা হয়েছে আগামী ২ মে শুক্রবার থেকেই কাজ শুরু হবে। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে চা–বাগান। এই বিষয়ে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এসওপি চা–বাগানগুলির জন্য হয়েছে। তার জন্যই খুলে যাচ্ছে একের পর এক বন্ধ চা–বাগানগুলি। পানিঘাটা চা–বাগান তার একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।’ উত্তরবঙ্গের চা–বাগানে খুশির হাওয়া। রাজ্য় সরকারের উদ্য়োগে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ারের একাধিক বন্ধ থাকা চা–বাগান এবার খুলতে চলেছে। শ্রম দফতরের উদ্য়োগে তা সম্ভব হয়েছে। তার ফলে হাসি ফুটতে চলেছে বিপুল সংখ্য়ক চা–শ্রমিকের মুখে। গত ১৭ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে ছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তখন আলিপুরদুয়ারের পাঁচটি চা–বাগান খুলে যায়।আরও পড়ুন: সর্বসাধারণের জন্য খুলে গিয়েছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির, মে দিবসের ছুটিতে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসঅন্যদিকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেও আলিপুরদুয়ার জেলায় বন্ধ চা–বাগানের সংখ্যা ছিল ১০টি। এখন আলিপুরদুয়ার জেলায় ৩টি চা–বাগান বন্ধ। আলিপুরদুয়ারের ডেপুটি লেবার কমিশনার জানান, বন্ধ তিনটি চা–বাগানও দ্রুত খুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আর আলিপুরদুয়ার জেলায় মোট চা–বাগানের সংখ্যা ৬১। এই চা বাগানগুলিতে স্থায়ী শ্রমিকের মোট সংখ্যা প্রায় ৭৮ হাজার। বেশিরভাগ চা–বাগানই এখন চলছে। যে কটি বন্ধ ছিল তাও এক এক করে খুলে যাচ্ছে। আর কয়েকটি চা–বাগান নিয়ে কথা শেষ পর্যায়ে। কয়েক মাসের মধ্যেই সেগুলি খুলে যাবে।এছাড়া ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর বন্ধ হয় পানিঘাটা চা–বাগান। এটি মিরিক মহকুমার অন্তর্গত। তিনশোর বেশি শ্রমিক কাজ করতেন। কিন্তু হঠাৎ চা–বাগান বন্ধ হয়ে গেলে আর্থিক সংকটে পড়েন শ্রমিকরা। বাগান খোলার জন্য দফায় দফায় চলে বৈঠক। তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগ নিয়ে চা–বাগান শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ান। সমস্ত সমস্যার সমাধানে চালু করেন বিশেষ পদ্ধতি এসওপি। তারপরই বন্ধ চা–বাগানগুলি দ্রুত খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। অবশেষে ১০ বছর পর খুলছে পানিঘাটা চা–বাগান। এই খবর সামনে আসতেই খুশিতে মেতে ওঠেন শ্রমিকরা। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান পানিঘাটার চা–শ্রমিকরা।