নভি মুম্বাইয়ে মা ও ছেলের হত্যার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় গীতা ভূষণ জাগ্গি (৭০) এবং তার ছেলে জিতেন্দ্রর (৪৫) দেহ নভি মুম্বইয়ের সেক্টর ৬ এর তাদের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায়, সেটি খুনের ঘটনা। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনায় ১৯ বছর বয়সি দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে কেন এই খুন এবং কীভাবে অপরাধ সংগঠিত হয়েছিল?
আরও পড়ুন: বাড়িতে এল মালদার তৃণমূল কংগ্রেস নেতার দেহ, হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার আরও পাঁচজন
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে এটা খুন বলে মনে হয়নি। তবে তদন্তে নামতেই বোঝা যায় তাদের খুন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, জিতেন্দ্রের সঙ্গে ঘটনার রাতে দুই যুবক ফ্ল্যাটে এসেছিল। এরপর তারা দুজনে মিলে মা ও ছেলেকে হামলা চালিয়ে হত্যা করে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই যুবকের নাম সঞ্জ্যোত মঙ্গেশ ডোডকে এবং শুভম মাহিন্দ্র নারায়ণী। গোপন সূত্রের খবরে পুলিশ উলওয়ে থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
কী কারণে খুন?
পুলিশ অফিসার আরও বলেন, অভিযুক্ত দুই যুবক জিতেন্দ্রকে আগে থেকে চিনতেন। জিতেন্দ্র সঙ্গে এক বছর আগে শুভমের পরিচয় হয়। পরে সে ডোডকের সঙ্গে জিতেন্দ্রর পরিচয় করিয়ে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর রাতে বর্ষবরণের পার্টির জন্য তাদের নিজের ফ্ল্যাটে ডেকেছিলেন জিতেন্দ্র। সেখানে তারা মদ্যপান করেন একসঙ্গে। এরপর জিতেন্দ্র অভিযুক্ত দুজনের সঙ্গেই শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টা করেন। এতে দুই যুবক ক্ষুব্ধ হয়ে জিতেন্দ্রকে এক্সটেনশন বোর্ড নিয়ে প্রথমে হামলা চালায়। এরপর গীতা জগ্গিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পুলিশ জানিয়েছে, পরে সেখান থেকে অভিযুক্ত ডোডকে এবং শুভম মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ, ট্যাব এবং গয়না নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে জোড়া খুনের সমাধান করে পুলিশ।একজন পুলিশ কর্মকর্তা এর আগে বলেছিলেন, যে বুধবার সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে আসা আত্মীয়রা ভিতর থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পান এবং মা ও ছেলের কাছ থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে তারা পুলিশকে জানান। পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাড়িতে প্রবেশ করলে ঘরে এলপিজির গন্ধ পাওয়া যায়। গ্যাসের নব চালু থাকায় মহিলা ও তার ছেলেকে বেডরুমে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়েছিল প্রথমে। পরে জানা যায় সেটি খুন।