ব্রিটেনে নিজেদের অনন্য পরিচয় তৈরি করেছেন ভারতীয়রা। এশিয়ানদের মধ্যে, ভারতীয়রাই সবচেয়ে ভাল পারফর্ম করছেন। সে দেশে ব্যবসা, চাকরি, বাড়ি, শিক্ষা সর্বত্রই, সফল ভারতীয়। ব্রিটেনে কর্মরত ভারতীয়দের সংখ্যা, বেতন, বাড়ির মালিকানা, কর্মসংস্থান কিংবা সেলফ এমপ্লয়মেন্ট-এর কথা আসে, তখন এটি দেখায় যে ভারতীয় সম্প্রদায় ঠিক কতটা সমৃদ্ধ।
পলিসি এক্সচেঞ্জ-এর প্রকাশিত 'এ পোর্ট্রেট অফ মডার্ন ব্রিটেন' নামে একটি নতুন রিপোর্ট ব্রিটেনে ভারতীয়দের ব্যাপক প্রশংসাই করেছে। ব্রিটিশ ভারতীয়দের 'আধুনিক ব্রিটেনের অন্যতম সফল সম্প্রদায় বা কমিউনিটি' হিসাবে বর্ণনাও করা হয়েছে এই রিপোর্টে।
আরও পড়ুন: (SpaceX: সমুদ্রে ল্যান্ড করল স্টারলিঙ্ক, দেখুন স্পেসএক্সের অবাক করা ভিডিয়ো)
ব্রিটেনে গিয়ে বাড়ি-চাকরি-শিক্ষা খাতে এগিয়ে ভারত
রিপোর্ট বলছে, ভাড়া বাড়িতে খুব সংখ্যক ভারতীয়ই থাকেন। বেশিরভাগেরই নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। ব্রিটেনে বসবাসকারী প্রায় ৭১ শতাংশ ভারতীয় নিজস্ব বাড়ির মালিক। এমনকি ব্রিটেনে ভারতীয়দের বন্ধু অন্যান্য সম্প্রদায়ের তুলনায় অনেক বেশি। শিক্ষার দিক থেকেও ভারতীয় সম্প্রদায় এগিয়ে। শিক্ষার দিক থেকে আবার চিনকেও হারিয়ে দিয়েছেন ব্রিটেনের ভারতীয়রা। যেখানে চিনা বংশোদ্ভূত বাসিন্দাদের ৯০ শতাংশ শিক্ষা খাতে এগিয়ে। সেখানে ৯৫ শতাংশ নিয়ে শিক্ষা খাতে এগিয়ে ভারতীয়রা।
চাকরির ক্ষেত্রেও, ব্রিটেনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত লোকেদের জুড়ি মেলা ভার। কেবল ব্রিটিশদের পিছনে রয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও, প্রায় ৪৯ শতাংশ ভারতীয় বংশোদ্ভূত, ব্রিটেনের কোম্পানিগুলিতে উচ্চপদস্থ কর্মচারী হিসাবে সফল কর্মজীবন ভোগ করছেন।
ভারতীয়রা ব্রিটেনের নির্বাচনী রাজনীতিতেও সক্রিয়
রিপোর্টে এমআইইনটিএস বা 'শহরে সংখ্যালঘু' নামে একটি নতুন সম্প্রদায়ের কথা বলা হয়েছে। এরা মূলত শহর থেকে টাউনে এবং গ্রামে চলে যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে তাঁরা স্থানীয় শ্বেতাঙ্গ সম্প্রদায়ের সঙ্গে একসঙ্গে বসবাস করছেন। এই সংখ্যাললঘু সম্প্রদায় আবার রাজনৈতিকভাবে খুব সক্রিয়। যার কারণে তাঁরা যে এলাকায় থাকছেন, সেগুলো নির্বাচনী এলাকা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ব্রিটেনে অনেক শ্বেতাঙ্গ স্নাতক রাজনৈতিকভাবে বাম দিকে ঝুঁকছেন, আর উচ্চ শিক্ষিত ভারতীয় হিন্দুরা ডান দিকে যাচ্ছেন। আর সহজে ভ্রমণ এবং ডিজিটাল যোগাযোগের কারণে ব্রিটেনে আসা নতুন ভারতীয়রা, নিজেদের দেশের সঙ্গে আরও বেশি যোগাযোগ রাখতে পারছেন। রিপোর্টে আবার সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে উৎসাহিত করার জন্য গত সাধারণ নির্বাচনের আগে হিন্দু ও শিখ রাজনৈতিক কর্মসূচির সমালোচনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: (Marital Rape Case Hearing in SC: ‘স্বামী বা অচেনা লোক- যেই ধর্ষণ করুক, সেটার পরিণতি তো আলাদা হয় না’)
যাইহোক, রিপোর্টে এটাও দেখা গিয়েছে যে ব্রিটেনের প্রায় প্রত্যেক সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ব্রিটিশ বলে গর্বিত বোধ করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি বা ফ্রান্সের মতো দেশগুলির চেয়ে ব্রিটেনেই বসবাস করতে বেশি পছন্দ করেন। কারণ তাঁরা এটা বিশ্বাস করেন যে ব্রিটেন অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো কিছু করেছে।