কয়েক মাস আগেও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলেন বাংলাদেশি পড়ুয়ারা। আর আজ ক্ষমতার লোভে সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন তাঁরাই। রিপোর্ট অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বাংলাদেশের পিরোজপুরে। ঘটনায় জখম হয়েছেন ৫। জখম ব্যক্তিদের মধ্যে ৩ জন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এবং ২ জন জাতীয় নাগরিক পার্টির। (আরও পড়ুন: ৯০ মিটার লম্বা ৬৫০ টন ভারী টানেল বোরিং মেশিন এল কলকাতায়, পাড়ি দিল ১৬৫৩ কিমি পথ)
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ পাঠাতে না চাওয়া বাংলাদেশি উপদেষ্টার প্রতিষ্ঠানে হামলা
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা মিলে জাতীয় নাগরিক পার্টি গঠন করে। এদিকে দলের পথ চলা শুরু হতে না হতেই নাহিদদের হাত ছেড়ে চলে যাচ্ছেন এক একজন নেতা। উল্লেখ্য, বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য সংখ্যা ২০০-র বেশি। তবে এরই মাঝে এবার এনসিপির তিন নেতা পদত্যাগ করেছেন। নাহিদ ইসলামকে নিজেদের ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছেন যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবু হানিফ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তর অঞ্চল) হানিফ খান সজিব ও যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুজ জাহের। রিপোর্ট অনুযায়ী, হানিফ খান সজিব এবং আব্দুজ জাহের ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যগ করেন। অপরদিকে হানিফ এনসিপি থেকে পদত্যাগ করে গণ অধিকার পরিষদে নিজের পুরনো পদে ফিরে যান। (আরও পড়ুন: যতই 'তিড়িং বিড়িং' করুক না কেন, সেই ভারতের কাছেই আসলে হল বাংলাদেশকে)
আরও পড়ুন: ভারত বিদ্বেষী হিজবুতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, তোপ ইউনুস সরকারকেও
উল্লেখ্য, জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ ১০ পদে রয়েছেন আহ্বায়ক মহম্মদ নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদিব, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার নিভা, প্রধান সমন্বয়কারী নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারি, যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লা। (আরও পড়ুন: দমদমের তিন নম্বর আপ লাইনে সিগন্যালিংয়ে ত্রুটি, পরপর দাঁড়িয়ে পড়ল লোকাল ট্রেন)
আরও পড়ুন: আলেম-ওলামাদের নিয়ে 'ভারতীয় ষড়যন্ত্রের' বিরুদ্ধে সংগ্রামের ডাক NCP নেতার
এদিকে শুরু থেকেই হাসিনা বিরোধী ছাত্রদের এই নতুন দলকে নিয়ে কৌতুহল আছে সবারই মনে। ছাত্রদের দলের মতাদর্শ নিয়েও জল্পনা ছিল। শুধুই কি হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু বিরোধিতার পথে হেঁটে নিজেদের রাজনীতি করবে নতুন প্রজন্মের এই নেতারা? তাঁরা কি ডানপন্থী হবেন, নাকি বামপন্থী হবেন? তবে রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, এই দল মধ্যপন্থার আদর্শে চালিত হে। ইতিমধ্যেই নাহিদ বলেছেন, ভারতপন্থী বা পাকিস্তানপন্থী রাজনীতির ঠাঁই নেই বাংলাদেশে। এহেন পরিস্থিতিতে আগামী দিনে এই রাজনৈতিক দল কোন পথে এগোয়, সেদিকে নজর সকলের।