বিমানবন্দরের নিরাপত্তা খুবই কঠোর। বিমানে ভ্রমণকারী যাত্রীদের লাগেজ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়, এবং বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভালো আচরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি বিমানবন্দরে যাত্রীদের দ্বারা বলা শব্দগুলিও গুরুত্বপূর্ণ। কিছু শব্দ আছে যা বিমানবন্দরে বলা হলে আপনার জন্য সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। এমনকি মজা করে কিছু বলা হলেও আপনাকে হেফাজতে নিতে পারে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলি এই শব্দগুলির উপর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়, তা ইচ্ছাকৃতভাবে বলা হোক বা ভুল করে। আসুন এমন কিছু শব্দ সম্পর্কে জেনে নিই যা বিমানবন্দরে এড়ানো উচিত, অন্যথায় এগুলি আপনার জন্য একটি বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে।
সন্ত্রাসী শব্দ থেকে সাবধান বিমানবন্দরে সবচেয়ে বিপজ্জনক শব্দগুলির মধ্যে একটি হল সন্ত্রাসী। অনেক সময় মানুষ মজার মেজাজে এই শব্দগুলি বলে কিন্তু বিমানবন্দরে এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয় হয়ে উঠতে পারে। আপনি যদি নিজেকে বা কাউকে মজা করেও সন্ত্রাসী বলেন, তাহলে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে পারেন। এই ধরনের ক্ষেত্রে, আপনার পক্ষে স্পষ্ট করে বলা কঠিন হয়ে পড়ে যে আপনি কেবল মজা করছিলেন। বিমান ছিনতাই এবং সন্ত্রাসবাদের ক্রমবর্ধমান হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি এই শব্দটিকে মোটেও উপেক্ষা করে না। অতএব, বিমানবন্দরে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত কোনও শব্দ ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
বোমা শব্দটি একটি বড় সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। যদি আপনি বিমানবন্দরে বলেন যে আমার ব্যাগে কোনও বোমা নেই বা বোমা শব্দটির সাথে সম্পর্কিত অন্য কোনও শব্দ, তাহলে এটিও একটি গুরুতর অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে। বোমা শব্দটি শোনার সাথে সাথে নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক হয়ে যায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে শুরু করে। এই শব্দটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে থামানো যেতে পারে, আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে এবং আপনার লাগেজ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা যেতে পারে। এর ফলে, আপনি ফ্লাইটের জন্য দেরি করতেও পারেন। কিছু ক্ষেত্রে, পুলিশ জরিমানাও করতে পারে এবং আপনাকে গ্রেপ্তার করতে পারে। অতএব, কখনও বিমানবন্দরে বোমার মতো শব্দ ব্যবহার করবেন না, এমনকি ঠাট্টা বা রাগের ক্ষেত্রেও।
যদি আপনি 'বন্দুক' বলেন, তাহলে আপনাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। বন্দুক সম্পর্কিত যে কোনও শব্দ বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য বিপদের সংকেত। এমনকি যদি আপনার কাছে আসল বন্দুক না থাকে, তবে আপনি যদি রাগ করে বা মজা করে বলেন যে আমার কাছে বন্দুক আছে বা আমার ব্যাগে কোনও বন্দুক নেই, তাহলে এটি আপনার জন্য ব্যয়বহুল প্রমাণিত হতে পারে। আসলে, বিমানবন্দরে যেকোনো ধরণের অস্ত্রের বিষয়ে কঠোর নিয়ম রয়েছে। যদি আপনি এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করেন, তাহলে আপনাকে তাৎক্ষণিকভাবে থামানো যেতে পারে এবং আপনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া যেতে পারে।
আগুন ভয়ের পরিবেশ বাড়িয়ে দিতে পারে আগুন এমন একটি শব্দ যা বিমানবন্দরে ভয় এবং আতঙ্কের সৃষ্টি করতে পারে। আগুন কেবল মানুষের জন্যই হুমকি নয়, বিমানবন্দরের সম্পত্তি এবং বিমানেরও ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। রানওয়ে, টার্মিনাল, নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রে আগুন লাগতে পারে। অতএব, বিমানবন্দরে আগুন শব্দটির ব্যবহারও নিষিদ্ধ। আপনি যদি কোনও প্রসঙ্গে এই শব্দটি বলেন, তাহলে কর্তৃপক্ষ এটিকে গুরুত্ব সহকারে নেবে এবং ব্যবস্থা নিতে পারে।
হুমকিমূলক ভাষা এড়িয়ে চলুন বিমানবন্দর একটি উচ্চ-নিরাপত্তা এলাকা এবং যেকোনো ধরণের হুমকিমূলক ভাষা বা সহিংসতা নির্দেশকারী শব্দ ব্যবহার এখানে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। আপনি রাগান্বিত হোন বা কেবল নিজেকে প্রকাশ করার চেষ্টা করুন, যদি আপনার ভাষা ভয়, সহিংসতা বা হুমকি বোঝায়, কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়। এজন্য বিমানবন্দরে শান্ত এবং সংবেদনশীলভাবে আচরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।