১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসায়র হরিণ হত্যা মামলায় বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান, টাবু, নীলম এবং সোনালি বেন্দ্রের উপর কোপ পড়ল আবার। রাজস্থান সরকার তাদের চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।
শুক্রবার বিচারপতি মনোজ কুমার গর্গের আদালতে লিভ-টু-আপিল আবেদনের শুনানি হয়, যিনি বিষয়টিকে সংশ্লিষ্ট বিচারাধীন মামলাগুলির সঙ্গে তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকারের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহিপাল বিষ্ণোইয়ের মতে, কথিত শিকারের ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৯৮ সালের ১ অক্টোবর, যোধপুরের কাছে কানকানি গ্রামে, বলিউড সিনেম 'হাম সাথ-সাথ হ্যায়'-এর শুটিং চলাকালীন। ২০১৮ সালে ৫ এপ্রিল এই মামলায় ট্রায়াল কোর্ট অভিনেতা সলমন খানকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়। তবে, পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে সহ-অভিযুক্ত সইফ আলি খান, টাবু, নীলম, সোনালি বেন্দ্রে এবং দুষ্মন্ত সিংকে রেহাই দেওয়া হয়।
রাজ্য সরকারের আপিলে এই রয়কেই চ্যালেঞ্জ করেছে। এখানে সলমন খানের সাজা ঘোষণা সম্পর্কিত বিষয়গুলিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
১৯৯৮ সালে মামলাটি রিপোর্ট করা হয়েছিল, যার পরে ৫ এপ্রিল, ২০১৮ তারিখে সালমান খানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং যোধপুরর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। ৫০,০০০ টাকা জমা দেওয়ার পর ৭ এপ্রিল, ২০১৮ তারিখে তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়। তিনি এখনও জামিনে আছেন এবং মামলাটি বর্তমানে হাইকোর্টে বিচারাধীন।
২০০৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, সিজেএম আদালত সালমানকে অন্য একটি মামলায় এক বছরের কারাদণ্ড দেয়। পরে হাইকোর্ট তাকে খালাস দেয়। সালমন খানকে অস্ত্র আইন মামলায়ও অভিযুক্ত করা হয়েছিল। পরে ২০১৭ তারিখের ১৮ জানুয়ারি শিকার মামলায় অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়।