গায়ে গেরুয়া চাদর, হাতে রুদ্রাক্ষের মালা নিয়ে যপ করছেন। জানা যাচ্ছে, টানা ৪৫ ঘণ্টা ধ্যান করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা যাচ্ছে, এই সময়টাতে কোনওরকমভাবে অন্ন গ্রহণ করবেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩০ মে সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে ১ জুন সন্ধ্যা পর্যন্ত মোদী ধ্যান করবেন বিবেকানন্দ রকে।
এদিকে গেরুয়া বসনে প্রধানমন্ত্রী ধ্যানের ছবি সামনে আসতেই দেশজুড়ে, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে জোর চর্চা। পক্ষে বিপক্ষে নানা মতামত উঠে আসছে। কেউ কেউ আবার এটা নিয়ে ট্রোল করতেও ছাড়ছেন না। এবার নাম না করে প্রধানমন্ত্রী একহাত নিলেন টলি প্রযোজক রানা সরকার।
ঠিক কী লিখেছেন রানা?
রানা সরকার লিখেছেন, ‘সারা বছর মৌন থেকে ধ্যান করতে পারেন তো। মানুষ একটু শান্তি পায়।’ রানা যদিও এই পোস্টে নাম না করে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরাসরি নাম নেননি। তবে এই পোস্টের নিচে কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। একজন লিখেছেন, ‘I have a গভীর question উনি কি ২৪ ঘন্টাই ধ্যানে বসে আছেন না মানে তাহলে প্রাকৃতিক কাজকর্মগুলোও কি ক্যামেরার সামনেই?’ কেউ আবার ট্রোল করে মোদী-মমতার ছবি শেয়ার করেছেন। কারোর মন্তব্য, ‘ওনার সাথে সাথে যদি ইনিও একটু মৌন থাকতেন তাহলে মঙ্গল হিঃ মঙ্গল!’ এখানে ইনি বলতে মমতাকে বোঝাতে চেয়েছেন এই ব্যক্তি। কারোর মন্তব্য, ‘এগুলো ভন্ডামি, ক্যামেরা চালু হলেই চোখ বন্ধ’। এমনই অসংখ্য মন্তব্য উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদীর বিবেকানন্দ রকে ধ্যানে আপত্তি ছিল বিরোধীদের। এতে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের সামিল বলে দাবি করেছেন অনেকে। যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে মোদীর ধ্যান নির্বাচনী আদর্শ আদরণবিধি লঙ্ঘন করেনি। নির্বাচন কমিশন একথা জানানোর পরই প্রকাশ্যে আসে ধ্যানমগ্ন প্রধানমন্ত্রীর ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মোদী গেরুয়া চাদর জড়িয়ে হাতে রুদ্রাক্ষের মালা নিয়ে যপ করছেন। জানা যাচ্ছে, এই ৪৫ ঘণ্টার ধ্যানের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী অন্নগ্রহণ করবেন না। এই সময় তিনি শুধুমাত্র ডাবের জল, আঙুরের জ্যুস ও অন্যান্য পানীয় পান করবেন। পুরো সময়টিতে মৌন ব্রত পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩০ মে সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে ১ জুন সন্ধ্যা পর্যন্ত মোদী ধ্যান করবেন বিবেকানন্দ রকে। এই মর্মে ৩০ মে প্রচারের সময়সীমা শে ,হতেই প্রথমে তিরুবনন্তপুরম পৌঁছে যান মোদী।