শুভব্রত মুখার্জি:- চলতি বিগ ব্যাশ লিগের ফাইনালে পৌঁছে গেল ব্রিসবেন হিট। অনবদ্য ইনিংস খেলে তাদের ফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত করলেন জস ব্রাউন। তুখোড় পাওয়ার হিটিংয়ের নিদর্শন রাখলেন তিনি। তাঁর ব্যাটিং ঝড়ে একেবারে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল বিপক্ষ বোলাররা। ব্যাট হাতে যেন চাবুক চালালেন তিনি এদিন। খেললেন মাত্র ৫৭ রান। করলেন এক অবিস্মরণীয় শতরান। আর তাঁর মারকাটারি ইনিংসে ভর করেই বিগ ব্যাশের ফাইনালে পৌঁছে গেল ব্রিসবেন হিট। সোমবার জস ব্রাউনের অনবদ্য শতরানের ইনিংসের উপর ভর করেই ১৩তম বিবিএলের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলল ব্রিসবেন।
এদিন মাত্র ৫৭ বল খেলে ১৪০ রান করেছেন জস ব্রাউন। তাঁর বেদম পিটুনিতে একেবারে দিশেহারা অবস্থা অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বোলারদের। তাঁর শতরানে ভর করেই সাত উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান করে ব্রিসবেন হিট। ব্রাউনের মারকাটারি ইনিংসের পরে মানসিকভাবে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স। তারা প্রত্যাশামতো লড়াই করতেই ব্যর্থ হল। মাত্র ১৬০ রানেই থেমে গেল তাদের ইনিংস। ফলে ৫৪ রানের ব্যবধানে জয় পায় হিট। বুধবার অনুষ্ঠিত হবে বিগ ব্যাশ লিগের ১৩ মরশুমের ফাইনাল। সেই ফাইনালে ব্রাউনের ব্রিসবেন হিট মুখোমুখি হবে সিডনি সিক্সার্সের। এদিন ব্যাট করার সময়ে হাল্কা চোট পেয়েছেন ব্রাউন। ফলে ফাইনালের কথা মাথায় রেখে তাঁকে আর ফিল্ডিং করানোর সাহস দেখায়নি হিট।
ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার পরে জস ব্রাউন জানিয়েছেন, 'অনবদ্য, অবিশ্বাস্য একটা অনুভূতি। আমার সত্যি বলছি এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না। আমি খুব খুব খুশি এই ইনিংসটা খেলে। আমার দলকে জেতাতে পেরে আরো খুশি আমি। আমার পরিবার আজ ম্যাচ দেখতে উপস্থিত ছিল। তাদের সামনে এই ইনিংসটা খেলতে পারাটা আরও বেশি আনন্দের বিষয়।আমাকে আরো বেশি গর্বিত করেছে। আমি নিশ্চিত ওঁরাও গর্বিত হয়েছে।'
মাত্র ৪১ বলে এদিন কেরিয়ারের প্রথম শতরান সম্পন্ন করেন তিনি। অল্পের জন্য ২০১৪ সালে ক্রেগ সিমোন্সের কম বলে শতরানের রেকর্ডটি ভাঙতে পারেননি। জস ব্রাউনের ইনিংস সাজানো ছিল ১২টি ছয়ে। এদিন ১৭তম ওভারে আউট হয়ে যান তিনি। ডেভিড পেইনের বলে এদিন আউট হয়ে যান তিনি। রান তাড়া করার সময়ে অ্যাডিলেডের হয়ে ৩৩ বলে ৫০ রান করেন নিয়েলসন। এছাড়া আর বলার মতো স্কোর করতে পারেননি কোনও ব্যাটার।