অবশেষে কাটল রানের খরা। ১১ মাস পরে সেঞ্চুরি করলেন শুভমন গিল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশাখাপত্তনমে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান হাঁকালেন শুভমন। বহুদিন ধরেই রানের মধ্যে ছিলেন না। শুরুর দিকে আশা জাগিয়েও বারে বারে ফিরতে হচ্ছিল। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৪ রান করে আউট হন। এর পর তাঁকে তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল। অবশেষে সেঞ্চুরি করে সব সমালোচনার জবাব দিলেন শুভমন।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর শতরানে ভর করেই ভারত ২৫০ রানের গণ্ডি টপকাতে পেরেছে। ২৫৫-তে অলআউট হয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। ইংল্যান্ডকে ৩৯৯ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়ার পর শক্ত হাতে হাল ধরেছিলেন গিল। কঠিন সময়ে দলের হয়ে শতরান এল গিলের ব্যাট থেকে। শতরান করতে তিনি মেরেছেন ১১ টি চার এবং ২ টি ছয়। স্ট্রাইক রেট সত্তরের উপরে। দ্রুত রান তোলার পাশাপাশি ভারতকেও অক্সিজেন দিয়েছেন শুভমন।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরপর দুই টেস্টে ব্যর্থ, তবু কোহলিকে টপকে WTC-তে নতুন রেকর্ড রোহিতের
তবে চা বিরতির আগেই আউট হওয়ার জেরে আফসোস করছিলেন শুভমন। তিনি বলেন, ‘তখন চা বিরতি হতে ৫-৬ ওভার বাকি ছিল। ওই সময় আউট হওয়া উচিত হয়নি। বাজে শট খেলে আউট হয়েছি। সেই সময় ব্যাট করতে কোনও সমস্যা হচ্ছিল না। চা বিরতি পর্যন্ত টিকে থাকলে আরও রান করতে পারতাম।’
আরও পড়ুন: যশস্বীর দ্বিশতরানের পর শুভমনের সেঞ্চুরি, ২৮ বছর আগের সচিন-সৌরভ নজির ছুঁলেন দুই তরুণ ব্যাটার
সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, তিনি বলেছেন, ‘কোনও বল নীচু হয়ে আসছিল। কোনও বল ঘুরছিল। তবে ক্রিজে টিকে থাকতে পারলে রান করা সহজ। আমরা ৭০-৩০ এগিয়ে। সোমবার সকালের সেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেখেছি সকালে আর্দ্রতা থাকে এবং ফাস্ট বোলার ও স্পিনারদের সাহায্য করে। সেই সময় আবহাওয়া বোলিংয়ের উপযুক্ত। শুরুতেই উইকেট তুলতে হবে আমাদের।’
শুভমনের খেলা দেখতে মাঠে এসেছিলেন তাঁর বাবা। ছেলে আউট হতেই নিজের আসন ছেড়ে উঠে যান তিনি। শুভমন যে ভাবে আউট হয়েছেন, তাতে সম্ভবত তিনি খুশি হতে পারেননি। শুভমন বলেন, ‘জানি না, বাবা কী ভাবে বিষয়টা নিয়েছে। হোটেলে ফিরলে বুঝতে পারব। বাবা আমার বেশির ভাগ খেলা দেখতেই মাঠে আসে।’
ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে শুভমন ১০৪ রান করেন। এছাড়া ৪৫ রান করে অক্ষর প্যাটেল। এছাড়া তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করেন শ্রেয়স আইয়ার এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁদের সংগ্রহ ২৯ করে। বাকিদের অবস্থা তথৈবচ।