পাঁশকুড়ায় চিপস চুরির অপবাদ দিয়ে হেনস্থার মুখে পড়ে আত্মঘাতী কিশোরের পরিবারকে মামলা তোলার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। একথা জানিয়ে থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত ছাত্রের মা। অভিযুক্ত তাঁদেরই প্রতিবেশী রাজ্য পুলিশের হোমগার্ড পুলক গোস্বামী ও তাঁর পরিবার। নিহত ছাত্রের মায়ের দাবি, বাড়ি এসে তাঁকে খুন ও তাঁর নাবালিকা মেয়েকে ‘আরজি কর করে দেব’ বলে হুমকি দিয়ে গিয়েছে পুলক ও তাঁর দলবল।
গত মে মাসে পাঁশকুড়ায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র আত্মঘাতী হয়। সুইসাইড নোটে সে লিখে যায়, মা আমি বলে যাচ্ছি কুড়কুড়িটি আমি চুরি করিনি। ওটা রাস্তায় পড়ে ছিল। সেই সুইসাইড নোটের ছবি ভাইরাল হতেই জনমানসে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। জানা যায়, শুভঙ্কর দীক্ষিত নামে পাঁশকুড়া থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের একটি মুদি দোকান রয়েছে। সেখানে চিপস কিনতে গিয়েছিল ছাত্রটি। কিন্তু দোকানে কেউ ছিল না। ফেরার সময় দোকানের সামনেই একটি চিপসের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখে সে। সেটি কুড়িয়ে নিয়ে বাড়িতে এলে পিছন পিছন পৌঁছয় সিভিক ভলান্টিয়ার। এর পর শিশুটিকে প্রকাশ্য রাস্তায় চরম হেনস্থা ও মারধর করে সে। মিথ্যা চুরির অপবাদের বিষাদে আত্মঘাতী হয় শিশুটি। সেই ঘটনায় প্রবল চাপের মুখে দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় পুলিশ।
মঙ্গলবার নিহত ছাত্রের মা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের প্রতিবেশী তথা রাজ্য পুলিশের হোমগার্ড পুলক গোস্বামী তাঁদের বাড়িতে এসে শুভঙ্কর দীক্ষিতের বিরুদ্ধে দায়ের আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা তুলে নিতে বলেন। মামলা না তুললে তাঁকে খুনের হুমকি দেয় পুলক ও তাঁর দলবল। এমনকী একথা বলে, ছেলে তো নেই। এবার মেয়েকে আরজি কর করে দেব।
এই ঘটনার পর চূড়ান্ত আতঙ্কে বাস করছেন নিহত ছাত্রের মা। ইতিমধ্যে পাঁশকুড়া থানায় পুলকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত হোমগার্ড। ঘটনার তদন্ত করছে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ।