বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির মামলায় এবার তদন্তে নামছে লালবাজার। মামলাটি আদালতে চলায়, সেখান থেকেই নির্দেশ এসেছে এই কেলেঙ্কারির খুঁটিনাটি জানতে তদন্তের ভার দেওয়া হোক লালবাজারের এক অভিজ্ঞ গোয়েন্দা অফিসারকে। মূল অভিযুক্তদের হদিশ পেতেই এই সিদ্ধান্ত আদালতের। (আরও পড়ুন: শিরদাঁড়ার নীচে ব্যথা, জড়িয়ে যাচ্ছে কথা! হাসপাতালে ভর্তি সৌগত রায়ের কী হল?)
আরও পড়ুন: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি টাকা নয়ছয়, ফিনান্স অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করল CID
সূত্রের খবর, সিআইডি এতদিন তদন্ত করলেও দুই বছর কেটে যাওয়ার পরও চক্রের বড় মাথারা অধরাই রয়ে গিয়েছে। যদিও সিআইডির দাবি, ইতিমধ্যেই সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আরও কয়েকজনকে ধরার কাজ চলছে। সূত্রের খবর, লালবাজারের অফিসার কয়েক দিনের মধ্যেই তদন্তের দায়িত্ব বুঝে নেবেন। সিআইডি তাঁকে প্রয়োজন মতো তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি তদন্তে সহায়তা করবে। (আরও পড়ুন: 'কার্তিক মহারাজ পালিয়ে যাচ্ছেন কেন? এইটুকু দম হল না যে আমি যাই?')
আরও পড়ুন: মনোজিতের লাভবাইটের তত্ত্বের আবহে সামনে এল নয়া তথ্য, কসবা কাণ্ডের মোড় কোন দিকে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক এই নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, সিআইডি অনেক নামকরা অপরাধীকে ধরেছে ঠিকই। কিন্তু এতবড় আর্থিক কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত কেন এখনও ধরা পড়েনি, সেটাই প্রশ্ন। কেউ না কেউ নিশ্চয় তাকে আড়াল করছে বলে দাবি ওই আধিকারিকের। তদন্তে উঠে এসেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিক্সড ডিপোজিটের অর্থ নদিয়া, কলকাতা এবং দিল্লির কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল। যেসব অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে, সেগুলি শনাক্ত করা হয়েছে এবং আংশিক অর্থ বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, আর্থিক নথিপত্র সাধারণত একটি নির্দিষ্ট আলমারিতে রাখা থাকে। তার চাবি একজন নির্দিষ্ট আধিকারিকের জিম্মায় থাকে। কিন্তু সেখান থেকে কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ নথি বেরিয়ে গেল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এক কর্মীর বিরুদ্ধে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তাকে তদন্তকারীরা এই কেলেঙ্কারির অন্যতম মাথা বলে মনে করছেন। তিনি বহুদিন ধরেই পলাতক। চাবি চুরি করে নথি বার করেছিলেন, না কি কেউ তাঁকে সাহায্য করেছিল এই প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। সেই কর্মী ধরা পড়লে আরও অনেক তথ্য সামনে আসত বলে মত তদন্তকারীদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তদন্তে কয়েকজন কর্মী ও আধিকারিককে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একজন ইতিমধ্যেই অবসর নিয়েছেন। তাঁর সব অবসরকালীন সুবিধা স্থগিত রাখা হয়েছে। এক আধিকারিককে শোকজ করে সাসপেন্ড করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।