মন্দারমণিতে তৃণমূল নেতা আবুল নাসারের মৃত্যুর ৫ দিন পরেও এখনও রহস্য অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা হলেন, আবুল নাসারের বান্ধবী তনুশ্রী মুখোপাধ্যায় ও তাঁর বন্ধু আতাউর রহমান। তবে পুলিশি তদন্তে আস্থা নেই আবুল নাসারের স্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার আদাহাটা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুরাইয়া পরভিনের। এই ঘটনায় তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আবুল নাসারের মৃত্যুর নেপথ্য কারণ কী? মন্দারমণির হোটেলে স্ত্রী পরিচয়ে যুবতী, তদন্তে বড় তথ্য
পারভিন অভিযোগ করেছেন, পুলিশ আসল ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। এছাড়া, যে যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনি তাদের নিজেদের লোক এবং নিরীহ। এই ঘটনার সঙ্গে তার কোনও যোগসূত্র নেই বলেই দাবি করেছেন পারভিন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে মন্দারমণির হোটেলের ঘরে মদের আসর বসেছিল। তবে পারভিনের দাবি, তার স্বামী মদ খাওয়া তো দূরের কথা মদ ছুঁতেনই না। তবে তার সিগারেটের নেশা ছিল। যদিও পুলিশ পারভিনের দাবি নস্যাৎ করে জানিয়েছে, তদন্ত সঠিকভাবেই হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় আরও একজনের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তিনি হলেন ধৃত যুবতীর মামা। পারভিন দাবি করেছেন, ওই যুবতীর মামায় হলেন এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। তার আরও দাবি, ওই ব্যক্তি হলেন উত্তর ২৪ পরগনার একজন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা এবং জমি কারবারের সঙ্গে যুক্ত। তার অভিযোগ, ব্যবসায়িক স্বার্থে তার স্বামীকে খুন করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও একজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে। একেবারে নিরপেক্ষভাবেই তদন্ত চলছে। এছাড়া, এই ঘটনার তদন্তে বেশ কিছু নতুন তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সুরাইয়ার দাবি, তার স্বামীর মদ্যপান করার যে দাবি পুলিশ করছে সেটা একেবারে ভিত্তিহীন। যে এই ঘটনার মূল মাথা তাকে গ্রেফতার না করে আড়াল করার চেষ্টা করছে পুলিশ। তিনি আরও জানান, ধৃত যুবককে তিনি নিজেই তার স্বামীর সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন। ওই যুবক তার স্বামীর খেয়াল রাখতেন। এবিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শুভেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, মৃত ব্যক্তির মায়ের দায়ের করা অভিযোগে ওই ধৃত যুবকের নাম আছে। এফআইআরের বাইরে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পলাতক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তদন্ত সঠিকভাবেই হচ্ছে বলে তিনি জানান।