আগেই জানা গেছিল প্যালেস্তাইনের দীর্ঘদেহী ডিফেন্ডার মহম্মদ রশিদকে চূড়ান্ত করে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল। এবার দলের ডিফেন্সকে শক্তিশালী করার দিকে আরও নজর দিল ইমামি গোষ্ঠী। আসলে ইস্টবেঙ্গলের শেষ কয়েকবছরে সব থেকে নড়বড়ে জায়গাটি হল ডিফেন্স লাইন। একটু বেশি আক্রমণ হলেই ডিফেন্সে বাঁধ ভেঙে যায়। কোয়েসের সময় বোর্হা ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণের নির্ভরতা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর যাওয়ার পর থেকে আর এই পজিশনে তেমন দাপট দেখিয়ে খেলার ফুটবলার পায়নি ইস্টবেঙ্গল।
আনোয়ার-হেক্টর জুটি ফ্লপ হয়
গত মরশুমে যখন মোহনবাগানের জাল থেকে আনোয়ারকে তুলে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল, তখন মনে করা হয়েছিল বিশাল বড় লাভবান হবে লালহলুদ। কিন্তু অবসরের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকা হেক্টর য়ুস্তের সঙ্গে আনোয়ারের জুটি ক্লিক করেনি। হিজাজি মাহেরও তেমন ফুটবল উপহার দিতে পারেননি লালহলুদের রক্ষণে, ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। আইএসএল, ডুরান্ড, সুপার কাপ, সবেতেই ব্যর্থ হয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
চার বিদেশিকে নেবে ইস্টবেঙ্গল
মোট চারজন বিদেশি ফুটবলারকে ইস্টবেঙ্গল সই করাবে বলে সূত্রের খবর। এর মধ্যে রশিদের সই হয়ে গেছে, মিগুয়েলকে মাঝমাঠে নেবেন ব্রুজো। একজন পজিটিভ স্ট্রাইকারের পাশাপাশি আরেকজন ব্লকার নিতে পারে ইস্টবেঙ্গল। তবে স্রেফ বিদেশি দিয়ে ভারতীয় ফুটবলে লাভবান হওয়া যায় না এখন, সেটা বোঝা গেছে শেষ কয়েক মরশুমে। যেখানে জামশেদপুরের ভারতীয় ব্রিগেড নজর কেড়ে। মোহনবাগানেরও ভারতীয় লাইন আপ বেশ শক্তিশালী।
মেহতাব সিংকে চাইছে ইস্টবেঙ্গল
ডিফেন্স মজবুত করতে এবার তাই দলের প্রাক্তনী তথা মুম্বই সিটি এফসির সাইড ব্যাক মেহতাব সিংকে ইস্টবেঙ্গলে ফেরাতে মরিয়া কর্তারা। মুম্বই সিটি এফসি থেকে বিপিন সিংকে ইতিমধ্যেই ইস্টবেঙ্গলে নেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে যদি রাইট ব্যাকে খেলা মেতহাবকেও দলে নেওয়া যায়, তাই প্রান্ত দিয়ে ওভারল্যাপ করার লোক যেমন বাড়বে দলে, তেমনই বোঝাপড়াও ভালো থাবে। এই পজিশনে গতবার নিশু কুমার একদমই নিষ্প্রভ ছিলেন। তাই জাতীয় দলের ডিফেন্ডারকেই দলে নিতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল।
মোহনবাগানও টার্গেট করছে MCFC-র এই ফুটবলারকে
মোহনবাগান সুপার জায়ান্টও নিজেদের রিজার্ভ বেঞ্চ শক্তিশালী করতে চাইছে, তাই তাঁরাও মেহতাব সিংকে বড় অঙ্কের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। টাকার অঙ্কে মোহনবাগানকে টেক্কা দেওয়া ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে কঠিন হতে পারে, তাই পুরনো ক্লাব হিসেবেই মেহতাবকে ফেরাতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। সেক্ষেত্রে মেহতাবের ঘনিষ্ঠমহলকে কাজে লাগিয়ে লালহলুদে তাঁকে ফেরানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি ইস্টবেঙ্গলে আসলে তাঁদের ডিফেন্স নিয়ে যে চিন্তা অনেকটাই কমবে তা বলাই বাহুল্য। মোহনবাগানে অবশ্য মেহতাব আসলে, তাঁকেও আশিস রাইয়ের সঙ্গে লড়ে দলে জায়গা নিতে হবে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলে তিনি আসলে, সরাসরি প্রথম একাদশে স্থান পেতে পারেন। এখন মেহতাব কোন দিকে যান, সেদিকে নজর থাকবে সকলের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।