সামনে এসেছে মিঠিঝোরা-র নতুন প্রোমো। এমিতেই বহুদিন ধরেই গল্প নিয়ে তিতিবিরক্ত দর্শকরা। প্রোমো এলেই কটাক্ষ আর মিমের ছড়াছড়ি। তবে অবশেষে এবারে জন্ম নেবে রাইয়ের বাচ্চা। কিন্তু সেটা হতে গিয়েই বিপত্তি! যদিও, এসব টুইস্টে আর মজা পাচ্ছে না দর্শক। কমেন্টে দাবি উঠল, ‘এবার বন্ধ হোক’।
প্রোমোয় দেখা যাচ্ছে যে, ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাইকে। বাইরে অপেক্ষা করছে অনির্বাণ, রাইয়ের মা ও বউদি। অনির্বাণ বলে ওঠে, ‘খুব কষ্ট পাচ্ছে রাই’! তাতে রাইয়ের মা বলেন, ‘মা হতে গেলে ওটুুকু কষ্ট সহ্য করতেই হয় বাবা’। আর ঠিক তখনই ভিতরে কেঁদে ওঠে একটা বাচ্চা। আনন্দে নেচে ওঠে অনির্বাণ। বলে ওঠে, ‘আমি বাবা হয়ে গিয়েছি’।
কিন্তু ওই যে, সিরিয়ালে আর যাই আসুক, সুখের দিন আসে না! তাই ওটির দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন ডাক্তার। অনির্বাণের উদ্দেশে বলে, ‘আপনার মেয়ে হয়েছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাইকে…’! পুরো কথা শোনা যায় না, চিৎকার করে ওঠে অনির্বাণ বউয়ের নাম নিয়ে।
রাই-অনির্বাণের এমন মর্মান্তিক পরিণতি দেখে, দুঃখ পাওয়া তো দূরের কথা, রীতিমতো ট্রোল শুরু নতুন করে। একজন লেখেন, ‘মারা গিয়ে সিরিয়ালটা শেষ হোক। আর নিতে পারছি না’। আরেকজন লেখেন, ‘কী আর হবে। কোমায় চলে যাবে। এই একই গল্প। কেউই দেখি স্বাভাবিকভাবে বাচ্চা জন্ম দিতে পারে না।’ আরেকজন লেখেন, ‘অনির্বাণ একটু ঠাকুরকে ডাকবে, আর আর একটু কান্না করবে, তারপর রাই রানি বেঁচে উঠবে। কি মজা!’
আরেকটা মন্তব্যে লেখা হয়, ‘রাই যদি মরে যায়, তাহলে নাটকটা এবার থেকে সুন্দর হবে। রাইয়ের ন্যাকামোর জন্য নাটকটা ফালতু হয়ে গেছে’। চতুর্থ মন্তব্য, ‘এবার হয়তো দেখাবে রাইয়ের বাচ্চা বড় করবে নীলু। দিদির বরকে বিয়ে করবে, নিজের ভালোবাসা বিসর্জন দিয়ে।’
তবে কেউ কেউ মনে করছেন, রাইকে কোমাতেই রাখা হবে আপাতত। কারণ সে যে সিনেমায় সুযোগ পেয়েছে। মানে আরাত্রিকা মাইতি আর কী! সৃজিতের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’-তে থাকছেন আরাত্রিকা। ফলত, ডেইলি সোপের কাজ আর করতে পারবেন না। ফলত, কোমায় রেখেই কাজ চালিয়ে নেবেন সিরিয়ালের নির্মাতারা।