একের পর এক ভুয়ো খবর প্রকাশিত হচ্ছে পাকিস্তানি মিডিয়াতে। তবে বার বার ধরা পড়ে যাচ্ছে সেই ভুয়ো খবর। তবে এবার আর কেবলমাত্র পাক মিডিয়া নয়, চিনের মিডিয়াতেও ভারতকে নিয়ে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে পিআইবির তরফে ফ্যাক্ট চেক করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই খবর ভুয়ো।
পিআইবির তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, চায়না ডেইলি মিথ্য়াভাবে দাবি করছে তাদের নিউজ রিপোর্টে যে তিনটি ভারতীয় যুদ্ধ বিমান ভেঙে পড়েছে কাশ্মীরে। তবে ফ্য়াক্ট চেক করে পিআইবি জানিয়েছে যে ছবিটা দেখানো হচ্ছে ওটা ২০১৯ সালের ছবি।
আল জাজিরা ইংলিশের একটা পুরনো প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত ছবিকে তুলে ধরে ২০২৫ এর ঘটনা বলে চালানো হয়েছে। তবে পিআইবি জানিয়েছে পুরোটাই ভুয়ো।
এদিকে এবার সংঘর্ষের একেবারে প্রথম থেকেই পিআইবি বার বার ফ্যাক্ট চেক করে জানিয়ে দিয়েছে, যে ছবি ও ঘটনার কথা পাকিস্তানি মিডিয়াতে প্রকাশ করা হচ্ছে তা পুরো ভুয়ো। একাধিক ক্ষেত্রে পুরোনো ছবিকে নতুন বলে চালানো হচ্ছে। কার্যত এবার পাকিস্তানের পথে হাঁটল চিনের মিডিয়াও। একেবারে ভুরি ভুরি মিথ্য়ে কথা। মিথ্যের ঝুড়ি।
অপর একটি ক্ষেত্রে পিআইবি ফ্যাক্ট চেক করে জানতে পারে, পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে দাবি করা হচ্ছে যে সুখোই- এসইউ-৩০এমকেআই মুজফ্ফরবাদে নামানো হয়েছে। এক ভারতীয় পাইলটকে আটক করা হয়েছে। তবে পিআইবি ফ্যাক্ট চেক করে জানতে পেরেছে এটা পুরো ভুয়ো তথ্য়। ফেক নিউজ।
পিআইপি ফ্যাক্ট চেক করে জানতে পেরেছে এটা সুখোই ভারতীয় বায়ুসেনার। এটা পুনে আমেদাবাদ নগর হাইওয়ের কাছে উন্দ্রে বস্তির কুলওয়াড়ি গ্রামে ভেঙে পড়েছিল মহারাষ্ট্রে সেটা ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর।
এরপর সেদিনের প্রতিবেদনের একটি লিঙ্কও যুক্ত করা হয়েছে। কার্যত কোথাও কিছু না পেয়ে এবার একের পর এক ভুয়ো খবর ছড়াতে শুরু করেছে পাক মিডিয়া, পাক সোশ্য়াল মিডিয়া।
তবে পিআইবির দাবি, এসব খবর পুরো ভুয়ো। সেক্ষেত্রে এই সব খবরে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য় আবেদন করা হয়েছে।
প্রত্যাঘাত চালিয়েছে ভারত। একাধিক জঙ্গিঘাঁটি উড়ে গিয়েছে। আতঙ্কে কাঁপছে পাকিস্তান। একের পর এক জঙ্গি নিকেশ। তারপরই নানা ধরনের ভুয়ো তথ্য় ছড়ানো হচ্ছে পাকিস্তানের তরফে। এবার চিনের মিডিয়াও এই ধরনের ভুয়ো তথ্য় ছড়াচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।