খুব শীঘ্রই বাবা-মা হতে চলেছেন কিয়ারা আদবানি। তিন মাস আগে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি, অনুরাগীদের সুখবর শুনিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন এই তারকা দম্পতি। আর এবার তাঁদের জীবনে আসতে চলেছে প্রথন সন্তান। তবে ২৩ এপ্রিল, বুধবার প্রকাশ্যেই হঠাৎই রেগে গেলেন হবু বাবা।
কিন্তু কী ঘটেছে, কেন এতটা রেগে গেলেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা?
সাধারণত পাপারৎজির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে সেভাবে দেখা যায় না সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। সবসময় তিনি সহযোগিতা করেন। তবে এবার একটু অন্যরূপেই দেখা গেল সিদ্ধার্থকে। কিন্তু কেন? কী ঘটেছে?
এদিন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কিয়ারাকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন কিয়ারা আদবানি। হাসপাতালে ঢোকার পথে তাঁদের দেখে ঘিরে ধরেন পাপারাৎজি। তাঁদের ছবি তুলতে গেলে কিছুটা বিরক্ত হন সিদ্ধার্থ। নম্র কিন্তু কিছুটা কঠোর স্বরে, সিদ্ধার্থ ফটোগ্রাফারদের সাবধান করে দিয়েছিলেন। হাসপাতালের সামনে থেকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে অভিনেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আপনারা এখন থেকে ঠিকঠাক আচরণ করুন। এক সেকেন্ড, পিছনে সরুন, পিছনে সরুন! ঠিকঠাক আচরণ করুন। আপনারা কি চাইবেন, যে আমি রেগে যাই? এক সেকেন্ড, বস!’
সিদ্ধার্থ মালহোত্রার এই ভিডিয়ো দেখে নেটিজেনদের অনেকেই নানান মন্তব্য করেছেন। একজন লেখেন, 'ওদের গোপনীয়তা বজায় রাখুন, সব কিছুর সীমা আছে।' আরও একজন লেখেন, ‘একেবারেই ঠিক! তাঁরা ক্লিনিকের বাইরে রয়েছেন। কিয়ারাকে ক্লান্ত ও অবসন্ন দেখাচ্ছে। শিষ্টাচার শিখুন, দয়া করে এভাবে চিৎকার করা বন্ধ করুন এবং গাড়ির ভিতরে মুখ ঢুকিয়ে ঝাঁকুনি দেওয়া বন্ধ করুন।'
আরও একজনের কথায়, ‘ওদেরও জীবন আছে, সবসময় ওদের গোপনীয়তা ভঙ্গ করলে মুশকিল, এটা ঠিক নয়।’ অন্য একজন নেটিজেন সহমত হয়ে বলেন, ‘একেবারেই যুক্তিসঙ্গত, ওদের গোপনীয়তায় ঢুকে পড়া বন্ধ করুন… আপনাদেরও কিছু সীমা বজায় রাখতে হবে’। একজন আবার বলেন, ‘কোথাও কোথাও দেখলাম লেখা হচ্ছে সিদ্ধার্থ আক্রমণাত্মক, কই ভিডিয়োতে তেমন কিছুই তো দেখলাম না। উনি তো ঠিকই বলেছেন।’
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে সিদ্ধার্থ ও কিয়ারা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি সুন্দর জোড়া সাদা শিশুর জুতোর ছবি দিয়ে লেখেন, ‘আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার, শীঘ্রই আসছে।’ এরপরই তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন বলিপাড়ার সহকর্মী থেকে অনুরাগীরা।