ম্যাচের শেষে পুরনো দলনায়ক লোকেশ রাহুলকে অভিনন্দন জানাতে এলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। দায়সারা করমর্দনেই কাজ সারলেন লোকেশ। নিজের পুরনো টিম মালিককে কার্যত পাত্তাই দিলেন না তিনি। গোয়েঙ্কাকে স্পষ্ট এড়িয় গেলেন লোকেশ। কথাই বলতে চাইলেন না।
মঙ্গলবার একানা স্টেডিয়ামে লখনউ বনাম দিল্লি ম্যাচের শেষে দেখা গেল এমন ছবি। আসলে গতবার লোকেশ ছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের ক্যাপ্টেন। সেই নিরিখে একানা ছিল তাঁর ঘরের মাঠ। হাতের তালুর মতো চেনা মাঠে এবার দিল্লিকে ম্যাচ জেতালেন লোকেশ। সেই সঙ্গে তিনি জবাব দিলেন গতবারের অপমানের।
গত বছর দলের খারাপ পারফর্ম্যান্সের জেরে ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুলের সঙ্গে মাঠেই দুর্ব্যবহর করেন লখনউ মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়। লখনউ মালিক চেষ্টা করেও বিতর্কে ধামাচাপা দিতে পারেননি। লোকেশের সঙ্গে মিটমাট করে নেওয়ার চেষ্টা করলেও অপমান সহ্য করে পড়ে থাকতে চাননি রাহুল। তিনি আইপিএল ২০২৫-এর আগে দল ছাড়েন।
লোকেশকে স্কোয়াড থেকে ছেড়ে দেওয়ার পরেও তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রকারান্তরে প্রশ্ন তুলতে শোনা গিয়েছিল লখনউয়ের মালিক পক্ষকে। অবশেষে লখনউয়ের ঘরের মাঠ একানায় গিয়ে পুরনো দলকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিলেন লোকেশ। তিনি গোয়েঙ্কার সঙ্গে আচরণেই বুঝিয়ে দিলেন, ভোলেননি গতবারের অপমান।
মঙ্গলবার একানা স্টেডিয়ামে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে দিল্লির জয়ের মঞ্চ গড়েন বাংলার দুই ক্রিকেটার। বল হাতে লখনউকে ভাঙেন বাংলার পেসার মুকেশ কুমার। পরে ব্যাট হাতে দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরিতে লখনউকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন বাংলার উইকেটকিপার-ব্যাটার অভিষেক পোড়েল। লোকেশ রাহুল শেষে পোক্ত মঞ্চে জয়ধ্বজা ওড়ান।
একানায় টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে লখনউ সুপার জায়ান্টস। তারা ওপেনিং জুটিতে ৮৭ রান তুলে ফেলার পরেও দেড়শো টপকেই হাল ছাড়ে। লখনউ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৯ রান সংগ্রহ করে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ক্যাপিটালস ১৭.৫ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৬১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১৩ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। লোকেশ রাহুল ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৪২ বলে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। মারেন সাকুল্যে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা।