সোমবার কলকাতায় এসেছেন শেহনাজ গিল ও গিপ্পি গ্রেওয়াল। শোনা গিয়েছিল এবার এসভিএফ ও হাম্বেল মোশন পিকচারস-এর প্রযোজনায় কলকাতায় পাঞ্জাবি ছবির শ্যুটিং করতে চলেছেন তাঁরা। খবর ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে ছবির শ্যুটিং। বর্ধমান রাজবাড়িতে ছবির কাজ শুরু হয়েছে। সামনে এল শ্যুটিংয়ের নানা মুহূর্তের ছবি।
এসভিএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এই পাঞ্জাবি ছবিটির নাম 'সিং ভার্সেস কৌড় ২'। এই ছবির হাত ধরেই এসভিএফ প্রথম কোনও পাঞ্জাবি ছবির প্রযোজনা করছে। তাছাড়াও অনেক দিন পর এই 'সিং ভার্সেস কৌড় ২'তে একসঙ্গে কাজ করতে দেখা যাবে গিপ্পি গ্রেওয়াল এবং শেহনাজ গিলকে। কলকাতায় ইতিমধ্যেই ছবির শ্যুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে। ছবিটি পরিচালনা করছেন নবনীত সিং।
তবে কেবল অভিনয়ই নয় গিপ্পি এই ছবির সহ প্রযোজকও বটে। ছবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সিক্যুয়েলটি তৈরি করতে কিছুটা সময় নিয়েছিলাম কারণ আমরা সত্যিই নতুন কিছু নিয়ে ফিরে আসতে চেয়েছিলাম। অবশেষে ভালো চিত্রনাট্য পাই। কলকাতার সঙ্গে ছবির একটা বড় যোগ রয়েছে। আমাদের ছবিতে একটা মোড় আছে যা আমি এখনই প্রকাশ করতে পারব না, তবে কলকাতা তার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।’
তবে কেবল ছবি নয় কলকাতার খাবার নিয়েও নানা কথা ভাগ করে নিয়েছেন নায়ক। তিনি জানান এর আগে একবার কলকাতায় এসেছিলে, এটা দ্বিতীয়বার। তাঁর কথায়, ‘আমি এবার কলকাতার খাবার চেখে দেখার জন্য একটা প্ল্যান বানাবো। আর সেখানে অবশ্যই আমাদের শ্রীকান্তজি (শ্রীকান্ত মোহতা) থাকবেন। এবার আমার চিট ডেতে কলকাতার মিষ্টিতে ডুব দেওয়ার পালা।’
তাছাড়াও তিনি ছবির নায়িকা শেহনাজ প্রসঙ্গেও নানা কথা ভাগ করে নেন। অভিনেতা বলেন, ‘শেহনাজ এবং আমি বিগ বসের আগে থেকেই একে অপরকে চিনি। এই চরিত্রের জন্য তিনি সত্যিই উপযুক্ত কারণ এই চরিত্রে তাঁর বাস্তব জীবনের ব্যক্তিত্বও প্রতিফলিত হয়েছে।’

ছবিতে বঙ্গ তনয়া হিসেবে ধরা দেবেন শেহনাজ। তাই শোনা যাচ্ছিল নায়িকা নাকি অলিভিয়া সরকারের কাছে বাংলাও শিখছেন। এই প্রসঙ্গে শেহনাজ বলেন, ‘আমি বাংলা ভাষা শিখছি। আমার চরিত্রটা বাঙালির। এখনও কলকাতার অনেক কিছু দেখা বাকি আছে! আমি কালীঘাটে যেতে চাই, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং রোল খেতে চাই।’
অন্যদিকে, ছবির পরিচালক নবনীত সিং বলেন, ‘এই ছবিটা একটি রোমান্টিক কমেডি যা পাঞ্জাবে শুরু হয়, কলকাতা হয়ে, কানাডায় যায় এবং অবশেষে পাঞ্জাবে ফিরে আসে। পাঞ্জাব এই ধরণের প্রেমের ছবি আগে দেখেনি। তাই আমরা একটা ভিন্ন ধারার মধ্যে নতুন কিছু অন্বেষণ করতে চেয়েছিলাম। কলকাতা একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে আমাদের গল্পে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটকের মতো কিংবদন্তিরা আমাদের অনুপ্রেরণা। আমাদের ছবির মাধ্যমে আমরা তাঁদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’