Geetashree Roy: পরকীয়া নেই বলেই ৮ মাসে বন্ধ হচ্ছে ‘কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’? কড়া জবাব গীতশ্রীর

২৪ ঘন্টা আগেই দুঃসংবাদ পেয়ে গিয়েছে ভক্তরা। বন্ধ হচ্ছে ‘কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’। কালীপুজোর আগেই গুটিয়ে যাচ্ছে কমলা ও মানিকের মিষ্টি দাম্পত্যের গল্প। ১১ নভেম্বর শেষ শ্যুটিং সারবে গোটা টিম। এই অবিচার যেন মেনে নিতে পারছে না ভক্তরা। একই প্রযোজনা সংস্থার ‘গাঁটছড়া’ যেখানে এখনও রমরমিয়ে চলছে, সেখানে কেন বন্ধ হচ্ছে এই পিরিয়ড ড্রামা? আরও পড়ুন-টিআরপি তলানিতে, ৮ মাসেই বন্ধ হচ্ছে কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ? মুখ খুললেন সুকৃতখোঁজ নিয়ে জানা গেল, টিআরপিই যত নষ্টের গোড়া। সন্ধ্যের স্লটে শিমূলকে টেক্কা দিতে ব্যর্থ কমলা-মানিক জুটি। ‘কার কাছে কই মনের কথা’র চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে এই মেগা, দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছ। তাই এমন কঠিন সিদ্ধান্ত। মন খারাপ গোটা ইউনিটের। এর মাঝেই সিরিয়াল বন্ধের খবর নিয়ে মুখ খুলেছে গল্পের সুহাসিনী মানে গীতশ্রী। এক সাক্ষাৎকারে গীতশ্রী জানান, ‘এই সিরিয়ালের কেন্দ্রে কোনও সাংসারিক ঝামেলা ছিল না। গল্পটা ছিল একেবারেই অন্য রকম। আমি প্রথম বার এমন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করলাম। সেটা ভাল লাগছে। সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার, সবাই আমায় দেখলেই বলেন খুব ভাল সিরিয়াল, অথচ টিআরপিই উঠল না’। সিরিয়ালের সঙ্গে প্রযোজনা সংস্থা ও চ্যানেলের ব্যবসায়িক স্বার্থও জড়িয়ে থাকে,সেই ব্যাপারটাও ভাবতে হয় এটা জানাতে ভোলেননি গীতশ্রী। শুরুতে টিআরপি তালিকায় ভালো ফল করেছিল এই পিরিয়ড ড্রামা। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে ততই তলানিতে কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজের টিআরপি। প্রতিদ্বন্দ্বী ‘কার কাছে কই মনের কথা’র সঙ্গে কোনওভাবেই এঁটে উঠতে পারছে না এই মেগা। এই সিরিয়ালে দুই তরুণ অভিনেতার পাশাপাশি একাধিক অভিজ্ঞ মুখেরাও রয়েছেন। শ্রীময়ী চট্টরাজ, গীতশ্রী রায়, কুণাল চক্রবর্তী, সোহিনী সান্যালদের মতো টেলিপাড়ার পোড়খাওয়া খিলাড়িরাও রয়েছেন। পুজোর আগে শোনা গিয়েছিল বন্ধ হবে অ্যাক্রোপলিস এন্টারটেনমেন্টের গাঁটছড়া, সেই স্লটে যাবে একই প্রযোজনা সংস্থার ‘কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’। তবে পুরো হিসাব উলটে গেল। আজকাল বেশিরভাগ সিরিয়ালের মেয়াদই সাত-আট মাসের বেশি হচ্ছে না। সেই ট্রেন্ড মেনেই মাত্র ৮ মাসেই নাকি বন্ধ হচ্ছে সুকৃত সাহা ও অয়ন্যা রায় অভিনীত এই মেগা। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে ব্লুজ প্রোডাকশনের আসন্ন মেগা গীতা LL.B-র স্লট। ২০শে নভেম্বর থেকে কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজের জায়গা নেবে এই মেগা। সুতরাং, ১৯শে নভেম্বরই শেষবার পর্দায় দেখা যাবে সুকৃত-অয়ন্যাদের, তা নিশ্চিত।