কাশ্মীরে জঙ্গি হানায় একের পর এক পর্যটকের মৃত্যু কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা কাশ্মীরকে। কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ নতুন কিছু নয়। কিন্তু এভাবে পর্যটকদের নির্বিচারে হত্যা কার্যত কাশ্মীরের পর্যটনের ভবিষ্যৎকে বড় প্রশ্নের সামনে হাজির করেছে। মোটামুটি মার্চ, এপ্রিল মে এই তিন মাস কাশ্মীরে হাজার হাজার পর্যটক আসেন। তার উপর নির্ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় কাশ্মীরের আর্থ সামাজিক ব্যবস্থা। তার উপরে এল বড় আঘাত। এনিয়ে রীতিমতো লজ্জিত পহেলগাঁও হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা।
কী বললেন তিনি?
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জাভেদ বুরজা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, হোটেলিয়ার, অ্য়াসোসিয়েশনের সভাপতি, 'বিশেষত একজন মানুষ হিসাবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এটা এমন একটা অমানবিক কাজ যে নিরীহ লোকজন মারল, এই পৃথিবীতে এটা মানা যায় না। আমরা অত্যন্ত লজ্জিত। পহেলগাঁওতে এই ঘটনার জন্য় আরও লজ্জিত। গোটা কাশ্মীরের জন্য় বড় ধাক্কা। শুধু পহেলগাঁওয়ের জন্য নয়। এর মাধ্যমে আমাদের নাম খারাপ হয়ে গেল। এই মানুষগুলোর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। জঙ্গিবাদের সঙ্গেও এদের কোনও যোগ নেই। তাঁরা তো ঘুরতে এসেছিলেন। আনন্দ করতে এসেছিলেন। ওদের খুন করা অত্যন্ত খারাপ লাগছে। বুকিং বাতিল হয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ পহেলগাঁও প্রায় ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। আমাদের কাছে সাত আটজন রয়েছেন। তাঁরাও কাল চলে যাবেন। তবে ৯০, ২০০৮ এর পরেও আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। আবার আমরা ঘুরে দাঁড়াব। '
পহেলগাঁওয়ে সব মিলিয়ে জঙ্গি হানায় নিহত হয়েছেন ২৬জন। তার মধ্য়ে ২৫ জন ভারতীয়। একজন বিদেশি (নেপালি)। ভারত সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে এটা জানানো হয়েছে।
তিন বাঙালি পর্যটকও মারা গিয়েছেন কাশ্মীরে। এদিকে একের পর এক বুকিং বাতিল হচ্ছে কাশ্মীরে। বাংলার বিভিন্ন ট্যুর এজেন্সির কাছে একের পর এক ফোন আসছে। ট্যুর বাতিল করতে চেয়ে ফোন আসছে। একাধিক গ্রুপ ট্যুর বাতিল করা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই এককভাবে যে ট্যুরগুলি ছিল সেগুলিও বাতিল করা হচ্ছে।
এদিকে একের পর এক কড়া অবস্থান নিচ্ছে ভারত। কূটনৈতিকস্তরে কড়া বার্তা দিল ভারত। পাক নাগরিকদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেজন্য সব মিলিয়ে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্য়ে ভারতে কোনও পাক নাগরিক থাকলে তাঁকে ভারত ছেড়ে চলে যেতে হবে।