রাত পোহালেই কর্ণাটকে বিধানসভা ভোটের ফলাফল। তার আগে, আত্মবিশ্বাসের সুর কংগ্রেসের রণদীপ সুরেওয়ালার তরফে। কর্ণাটকে শনিবার ১৩ মে কোন পার্টির জন্য ‘লাকি’ প্রমাণিত হতে চলেছে, তা জানান দেবে কর্ণাটকের ভোটের ফলাফল। তবে তার আগে রণদীপ সুরজেওয়ালা বলছেন, বিজেপি হার মেনে নিয়েছে। আর একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে কর্ণাটকে কংগ্রেসের মসনদে বসা এখন সময়ের অপেক্ষা।
কন্নড়ভূমে কংগ্রেসের সরকার আসছে, এমনই দাবি করে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছেন, ‘আমি কর্ণাটকের ৬.৫ কোটি মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যাঁরা কংগ্রেসের জন্য ভোট দিয়েছেন। কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাক, ফলাফল বের হতে দিন। বিজেপি নিজের হার স্বীকার করে নিয়েছে।’ এদিকে, সদ্য জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী বলেছেন, তাঁর কাছে ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস, দুই দলের পক্ষ থেকেই বার্তা। তবে যে পার্টি কুমারস্বামীর শর্ত মানবে, সেই পার্টিকেই কুমারস্বামী শরিক হিসাবে বেছে সরকার গড়ার কথা বলেছেন। এদিকে, জেডিএস নেতার এই বক্তব্য নিয়ে মিডিয়া প্রশ্ন করে রণদীপ সুরজেওয়ালাকে। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি বিজেপি , জেডিএস হাত মিলিয়ে সরকার গড়বে? রণদীপ বলেন,'ওঁদের যেখানে ইচ্ছে যেতে দিন। আমি বিশ্বাসী কংগ্রেসই সরকার গড়বে। আর ভালো রকমের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তা গড়বে।' প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে কর্ণাটকে বিধানসভা ভোটের পর সরকার গড়ে কংগ্রেস ও জেডিএস। শেষে কিং মেকারের ভূমিকায় থাকা জেডিএস থেকে কুমারস্বামী হন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও সেই জোটের শেষটা রাজনৈতিক দিক থেকে ব্যাপক অসফল ছিল।
( যে পার্টি শর্ত মানবে সেদিকের জোটে ঝুঁকবেন কুমারস্বামী! ভোটের ফলের আগে দিলেন আভাস)
তবে ২০২৩ সালে ১৩ মে কর্ণাটক বিধানসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে পরিস্থিতি কোনদিকে যেতে পারে, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। এদিকে, ভোটের পর কর্ণাটকে বুথ ফেরত সমীক্ষা বলেছে, কন্নড়ভূমে কংগ্রেস ও বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আসতে চলেছে। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের কিস্তিমাতের সুযোগ রয়েছে নাকি, শেষ হাসি বিজেপি হাসবে, তা নিয়ে জল্পনা থেকে যাচ্ছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক