দীর্ঘদিন ধরে তিনি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের একটি স্তম্ভ। ব্যাট হাতে তিনি নামলেই ধরে নেওয়া হতো ম্যাচ জিতবে অস্ট্রেলিয়া। বছর খানেক আগে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর। এবার অ্যারণ ফিঞ্চ বিগ ব্যাশ লিগে নিজের শেষ ম্যাচ খেললেন মেলবোর্ন স্টার্সের বিরুদ্ধে। তবে এদিন ম্যাচের পর তাঁকে এক বিশেষ সম্মান দিয়ে বিদায় জানালো তাঁর দল মেলবোর্ন রেনেগেডস। নিজেদের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে ফিঞ্চের পাঁচ নম্বর জার্সির ছবি পোস্ট করে তারা জানালো যে ফিঞ্চ চিরকাল কিংবদন্তি হয়ে থাকবেন। শুধু তাই নয়, অবসর দেওয়া হল ফিঞ্চের পাঁচ নম্বর জার্সিকে।
শনিবারের বিগ ব্যাশ ম্যাচে নিজেদের মুখোমুখি হয় দুই দল। যেদিন ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই এগিয়ে থাকে ফিঞ্চ বাহিনী, অর্থাৎ মেলবোর্ন রেনেগেডস। সহজেই ম্যাচ পকেটে তোলে তারা। সৌজন্যে শন মার্শের দাপুটে ব্যাটিং এবং কেন রিচার্ডসন ও আকিল হোসেনের বিধ্বংসী বোলিং। তবে এদিন ছিলো দলের তারকা ব্যাটার আরন ফিঞ্চের শেষ ম্যাচ। এদিন জায়েন্ট স্ক্রিনে দেখানো হয় 'ধন্যবাদ ফিঞ্চ'। তবে এদিন তিনি কোনও রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
এরপরই নিজেদের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে ফিঞ্চের জার্সির ছবি পোস্ট করে দল। ক্যাপশনে লেখা, 'ধন্যবাদ ফিঞ্চ সবকিছুর জন্য। তুমি চিরকাল আমাদের ক্লাবের কাছে একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার হয়ে থাকবে।' এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই শুরু করে ফিঞ্চ ভক্তদের থেকে নানা কমেন্টস এবং সকলেই আগামীদিনের জন্য শুভেচ্ছা জানান প্রাক্তন তারকাকে। অধিকাংশেরই বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে তিনি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকে বেশকিছু দারুন মুহূর্ত দিয়েছেন মনে রাখার মতো।
উল্লেখ্য, এদিন টসে জিতে প্রথমে স্ট্রাইকার্সদের ব্যাট করতে পাঠায় রেনেগেডস। নির্ধারিত ২০ ওভারে স্ট্রাইকার্স ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৩৭ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন হিলটন কার্ট্রাইট। রেনেগেডসের বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট পান কেন রিচার্ডসন ও আকিল হোসেন এবং একটি করে উইকেট তোলেন ফার্গাস ও নেল, টম রজার্স ও অ্যাডাম জাম্পা। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ১৮ ওভার শেষ হওয়ার আগেই চার উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় রেনেগেডস। অর্ধশতরান করেন শন মার্শ। তাঁর মোট সংগ্রহ ৪৯ বলে ৬৪। এছাড়া জেক ফ্রেসর-ম্যাকগার্ক করেন ৪২। স্ট্রাইকার্সদের বোলারদের মধ্যে দুটি উইকেট পান নেথান কুলটার নাইল এবং একটি করে উইকেট তোলেন জোয়েল প্যারিস ও স্কট বল্যান্ড। ম্যাচের সেরা হন শন মার্শ।