দাঙ্গা করছেন আপনারা আর গালাগালি খাচ্ছি আমি। সোমবার বহরমপুরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের তুমুল সমালোচনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, গত ডিসেম্বরে দাঙ্গাকারীদের ওপরেই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকায় শান্তি - সম্প্রীতি বজায় রাখার দায়িত্ব দিয়ে এসেছিলেন। তাই গালি তো তাঁকে শুনতেই হবে।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘বলছে, নিহতদের পরিবারের লোকেরা আপনাকে খুব গালাগালি করেছে। আপনাকে তো গালাগালি করবে। আপনি তো পুলিশমন্ত্রী গত ১৪ বছর। আপনার পুলিশ তো শাটারের তলায় ঢুকে গেছিল। আপনাকে করবে না তো কাকে করবে? আপনি গাছেরও খাবেন, তলারও কুড়াবেন? আপনি পুলিশমন্ত্রী হয়েও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। আপনাকে তো বলবেই।’
শুভেন্দুবাবু মনে করান, ‘আপনি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে মুর্শিদাবাদের লালবাগে গেছিলেন। কী বলে এসেছিলেন, বেলডাঙার কার্তিক পুজোর ঘটনার পরে? মাননীয় ইমাম সাহেবদের সামনে রেখে? বলেছিলেন, মালদা - মুর্শিদাবাদে আপনারা সংখ্যাগরিষ্ঠ, হিন্দুরা সংখ্যালঘু। আমি দেখভালের দায়িত্ব আপনাদের দিয়ে গেলাম। আপনি দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন, তাই মোথাবাড়ি হয়েছে। তাই ধুলিয়ান হয়েছে, সামসেরগঞ্জ হয়েছে, সুতি হয়েছে। তাই ৯০০ দোকান বাড়িতে লুঠ ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে। তাই হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাস খুন হয়েছে। তাই ধুলিয়ান – সামসেরগঞ্জের হিন্দুরা এক কাপড়ে বৈষ্ণবনগরে গিয়ে স্কুলে গবাদি পশুর সঙ্গে একসঙ্গে রাত্রি যাপন করতে বাধ্য হয়েছে।’
শুভেন্দুবাবুর কটাক্ষ, ‘আপনি বলেছেন, তোমরা দাঙ্গা করবে আর আমাকে গালি শুনতে হবে। শুনতে তো হবেই কারণ ডিসেম্বর মাসে তো আপনি ওদেরই দায়িত্ব দিয়ে এসেছেন। আপনি তো পুলিশের ওপর ভরসা করেননি। আপনি দাঙ্গা যারা করেছে তাদের ওপর ভরসা করেছিলেন। এই মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী। তার উসকানিতে, ইন্ধনে, তাঁর পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় মোথাবাড়ি থেকে ধুলিয়ান, সামসেরগঞ্জের গরিব হিন্দু পরিবারগুলো সর্বস্বান্ত হয়েছে।’