উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা তখন টানটান স্নায়ুর লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে চলছে। প্রশ্নের উত্তর দিয়ে চলেছেন পরীক্ষার্থীরা। এই আবহে হঠাৎ পাখা খুলে পড়ল পরীক্ষার্থীদের মাথার উপর। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। আজ মঙ্গলবার বোলপুরের বিবেকানন্দ স্কুলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বোলপুরের একলব্য মডেল স্কুলের এক ছাত্রী এই পাখা ভেঙে পড়ার ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে খবর। কিন্তু পরীক্ষা শুরু আগে তো সব কিছু পরীক্ষা করে নেওয়া হয়। তাহলে এমন কাণ্ড ঘটল কেন? এই ঘটনায় স্কুলের পরিকাঠামোয় গাফিলতি আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা নিয়ে এখন বেজায় চিন্তায় পড়েছে অভিভাবকরা।
উচ্চমাধ্যমিকের মতো বড় পরীক্ষায় এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। আর কোনও স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন সিলিং থেকে ফ্যান খুলে ছিটকে পড়বে কিনা তা নিয়ে আতঙ্কে আছেন অভিভাবকরা। তবে এই ঘটনার পর আঘাত নিয়েই ওই ছাত্রী পরীক্ষা দেন বলে জানতে পারা গিয়েছে। পরীক্ষা বন্ধ করেননি তিনি। যদিও উচ্চমাধ্যমিকের আজকের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে ওই ছাত্রীকে বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা করার জন্য দেখানো হলে তিকিৎসকরা তাঁর চোট মারাত্মক নয় বলে জানিয়ে দেন। তবে আজকের এই ঘটনা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন ওই ছাত্রী।
আরও পড়ুন: ‘কামারহাটিতে ঢুকতে পারবে, বেরতে আর পারবে না’, অর্জুন সিংকে চ্যালেঞ্জ মিত্র মদনের
বোলপুরে বিবেকানন্দ স্কুলের এই ঘটনা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে এলাকায়। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন হলের সিলিং থেকে একটি ফ্যান ছিটকে পড়ে যায় নীচে। আর তার জেরেই আঘাত লাগে এক ছাত্রীর বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় বেশ ভয় পেয়ে যান ছাত্রীটি। এমনকী অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্য এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। সিলিং থেকে ফ্যান পড়ে ছাত্রীরা আহত হতেই চিকিৎসকদের খবর দেওয়া হয়। আহত ছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে খানিকটা ধাতস্থ করলে তিনি পরীক্ষা দেন। ওই ছাত্রীকে এভাবে আহত হতে দেখে অন্য এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকেও তখন চিকিৎসা করানো হয়। পরীক্ষা শেষ হলে দু’জনকে নিয়ে যাওয়া হয় বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। আপাতত দু’জনেই ভাল আছেন বলে সূত্রের খবর।