চলতি আইপিএলে ঝলক দেখিয়েও নিজের ব্যাটিং স্কিল মেলে ধরার তেমন একটা সুযোগ পাননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে ক্যাপ্টেন হিসেবে এবং উইকেটকিপার হিসেবে নিজের দক্ষতার চূড়ান্ত নমুনা পেশ করেছেন চেন্নাই দলনায়ক। বিশেষ করে চিপকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে উইকেটকিপার হিসেবে যে দক্ষতা দেখিয়েছেন ধোনি, তাতেই বোঝা যায় যে, কেন তিনি বাকিদের থেকে আলাদা।
ম্যাচে প্রথমে মাহিশ থিকসানার বলে সানরাইজার্স ক্যাপ্টেন এডেন মার্করামের দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন ধোনি। পরে রবীন্দ্র জাদেজার বলে মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে স্টাম্প-আউট করেন তিনি। শেষে প্রথম ইনিংসের একেবারে শেষ বলে সরাসরি থ্রোয়ে ওয়াশিংটন সুন্দরকে রান-আউট করেন সিএসকে দলনায়ক।
ধোনি নিজের ধরা ক্যাচটিকে অন্যতম কঠিন ক্যাচ বলে দাবি করেন ম্যাচের শেষে। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে মাহি মজার ছলেই সঞ্চালক হর্ষ ভোগলের কাছে অনুযোগ করেন যে, এত কঠিন ক্যাচ ধরা সত্ত্বেও তাঁকে সেরা ক্যাচের পুরস্কার দেওয়া হয়নি। মাহি বিস্তারিতভাবে বর্ণনাও করেন যে, ক্যাচটি কেন কঠিন ছিল। সঙ্গে এও জানান, শেষবার রাহুল দ্রাবিড়কে কিপিং করার সময় এমন অনবদ্য ক্যাচ ধরতে দেখেছিলেন।
সন্দেহ নেই ক্যাচটি কঠিন ছিল। তবে যে স্টাম্প-আউট ও রান-আউটটি করেন তিনি, সেগুলিও নিতান্ত সহজ ছিল না। ধোনিকে আগেও অবশ্য এমন স্টাম্প ও রান-আউট করতে দেখা গিয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শেষ বলে ওয়াশিংটনকে রান-আউট করার আগে বল ছোঁড়ার অভ্যাস করতেও দেখা যায় ধোনিকে। অর্থাৎ, আগে থেকেই এমন পরিস্থিতির জন্য তৈরি ছিলেন ধোনি।
আরও পড়ুন:- CSK vs SRH: চিপকের রাজা ধোনিই, হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেই রায়নার রেকর্ড ছিনিয়ে নিলেন মাহি
ইনিংসের শেষ বলে ধোনিকে প্রায়শই এক হাতের গ্লাভস খুলে কিপিং করতে দেখা যায় বল ছোঁড়ার বিকল্প খুলে রাখার জন্যই। চিপকেও তার অন্যথা হয়নি। তবে শেষ ডেলিভারির আগে ধোনিকে একাধিকবার বল ছোঁড়ার শ্যাডো করতে দেখা যায়, যার ফল মেলে হাতেনাতে।