গত ১৪ মার্চ দিল্লি হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মিলেছিল নগদ টাকা। এরপর তা নিয়ে শুরু হয়েছিল তোলপড়। এই আবহে সুপ্রিম কোর্ট তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্যে। পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শীল নাগু, হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জিএস সন্ধাবালয় এবং কর্ণাটক হাইকোর্টের বিচারপতি অনু শিবরামন আছেন এই কমিটিতে। পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরা, ডিসিপি (নয়াদিল্লি জেলা) দেবেশ মহলা এবং অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের এই বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সুপ্রিম কোর্টের গঠিত সেই কমিটি। এই তদন্তে মূলত দুটি প্রশ্ন উঠে এসেছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থল থেকে কেন নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়নি? কেন কর্মীদের মোবাইল ফোন থেকে আগুন লাগার দৃশ্যের ভিডিয়ো ডিলিট করে দেওয়া হল? (আরও পড়ুন: কুলভূষণকে নিয়ে ফের নয়া বুলি, ২০১৯-এ ICJ-র 'থাপ্পড়ের' কথা ভুলে গেছে পাকিস্তান?)
আরও পড়ুন: 'বিশৃঙ্খল' দিল্লি বিমানবন্দরে বিরক্ত ওমর, রাত ১টায় রাজধানীর বদলে পৌঁছলেন জয়পুরে
সূত্র উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে যে সুপ্রিম কোর্টের কমিটিকে পুলিশ আধিকারিকরা বলেন যে এই মামলায় কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি, তাই নগদ বাজেয়াপ্ত করা যায়নি। পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাঁরা মামলাটি তাঁদের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের হাতে তুলে দেন, যাঁরা শেষ পর্যন্ত দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায়কে ঘটনাটি জানান। ভিডিয়ো ক্লিপটি মুছে ফেলার বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ফুটেজটি যাতে ভুল হাতে না পড়ে তা নিশ্চিত করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তরফ থেকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। (আরও পড়ুন: 'নিজের ছবি দিন, তবে...', ইউসুফের 'চা খাওয়া' নিয়ে বিতর্কের মাঝে বলল তৃণমূল)
পুলিশ কমিটিকে আরও জানিয়েছে যে ভারতের প্রধান বিচারপতির অনুমতি সাপেক্ষে ভারতের হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা যেতে পারে। এই কারণেই পুলিশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে, যারা পরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে ঘটনাটি জানানো হয়। এদিকে দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের প্রধান অতুল গর্গ এবং দিল্লি পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরা কমিটিকে জানান, ঘটনার রাতে বিচারপতির স্টোর রুমে নগদ টাকা ছিল। যদিও বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া জবাবে দাবি করেছিলেন, তাঁর স্টোর রুমে কোনও নগদ টাকা ছিল না।