India-China Sweet Exchange: গলছে বরফ? গালওয়ান পরবর্তী সময়ে দীপাবলিতে লাদাখে ভারত-চিনের সেনার মিষ্টি বিনিময়
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 31 Oct 2024, 04:07 PM ISTসদ্য দুই দেশের সেনার তরফে ডেপসাং ও ডেমচক থেকে সেনা সরানো হয়েছে। তারপরই এই মিষ্টি বিতরণ হয়।
সদ্য দুই দেশের সেনার তরফে ডেপসাং ও ডেমচক থেকে সেনা সরানো হয়েছে। তারপরই এই মিষ্টি বিতরণ হয়।
রাশিয়ায় ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে মোদী ও জিনপিং বৈঠক কি সত্যিই ভারত-চিনের দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের বরফ গলাতে সাহায্য করেছে? এই প্রশ্নের মাঝেই লাদাখে সদ্য সমাপ্ত হয়েছে দুই সংঘাতের জায়গা থেকে সেনা প্রত্যাহার পর্ব। ডেমচক, ডেপসাং থেকে ভারত ও চিন দুই পক্ষই সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তখনই শোনা গিয়েছিল যে, সীমান্তে সম্ভবত দিওয়ালিতে চিন ও ভারতের সেনার মধ্যে মিষ্টি বিনিময় হবে। আর সেই মতো দিওয়ালির দিন সেই ছবি দেখা গেল লাদাখের LACতে।
ভারতীয় সেনা ও চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির তরফে একে অপরকে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। ঠিক এই ঘটনার আগের দিন দুই দেশের সেনার তরফে ডেপসাং ও ডেমচক থেকে সেনা সরানো হয়েছে। তারপরই এই মিষ্টি বিতরণ হয়। সেনার তরফে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলা হয়েছে,' দিওয়ালি উপলক্ষ্যে এলএসি বরাবর কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্টে ভারত ও চিনের সেনা সদস্যদের মধ্যে মিষ্টি বিনিময় হয়েছিল।' সীমান্তে এলএসির কাছে পাঁচটি বর্ডার পার্সোনাল মিটিং-এ এই মিষ্টি বিনিময় হয়। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের পর ফের একবার চেনা মেজাজে দেখা যাচ্ছে লাদাখে সীমান্তের পরিস্থিতি। ২০২০ সালের মে মাসে লাদাখে চিনের আগ্রাসনের জেরে শহিদ হয়েছিলেন ভারতের ২০ জন বীর যোদ্ধা। একচুল জমি ছাড়েনি ভারত। চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক দিক থেকে ভারতের সম্পর্ক ক্রমাগত ক্ষীণ হতে থাকে। এদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার সামাজিক ও রাজনৈতিক নানান পট পরিবর্তনও হতে থাকে এই সময়। চিন ও ভারতের মাঝে অবস্থিত বাংলাদেশে বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়। ভারতের প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়। পাকিস্তানে সরকারে মসনদ খোয়ান ইমরান। এদিকে, চিনপন্থী মলদ্বীপের সঙ্গেও দিল্লির সম্পর্কে শীতলতা দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে লাদাখে যেভাবে দুই সংঘাতের জায়গা থেকে ভারত ও চিন সেনা সরিয়েছে, তা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি ২১ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে বলেছিলেন যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনার পরে ভারত ও চিনের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে এবং এটি ২০২০ সালে উদ্ভূত সমস্যাগুলির সমাধানের দিকে নিয়ে যাবে। আপাতত লাদাখ সীমান্ত ঘিরে দুই দেশ কোনপথে হাঁটে সেদিকে তাকিয়ে বিশ্ব।