সন্ত্রাসে অর্থ জোগানোর দায়ে গতকালই মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদকে অভিযুক্ত করেছে পাকিস্তানের একটি আদালত। সেই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে দ্রুত শুনানির দাবি জানাল আমেরিকা।সন্ত্রাসদমনে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের যথেষ্ট চাপের মুখে পড়েছে ইমরান খান প্রশাসন। অর্থ জোগান রুখতে গত অক্টোবরে চার মাসের সময়সীমা বেধে দিয়েছে বিশ্ব সন্ত্রাসে অর্থ যোগানের উপর নজরদারি চালানো আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স(এফএটিএফ)। সেই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করারও সম্ভাবনা রয়েছে। তার জেরে বন্ধ হয়ে যাবে বিভিন্ন দেশের আর্থিক সাহায্। এমনিতেই আর্থিকভারে জর্জরিত ইসলামাবাদ। সেই সঙ্গে অনুদান-সাহায্য বন্ধ হলে নাভিশ্বাস উঠে যাবে ইমরান খানের প্রশাসনের। এরইমধ্যে গতকাল সইদ ও তার চার সঙ্গীকে অভিযুক্ত করেছে লাহোরের একটি সন্ত্রাসদমন আদালত। সরকারপক্ষকে আদালতে সাক্ষী পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আগামীকাল ফের শুনানি হবে। যদিও মুম্বই হামলার জড়িত থাকার জন্য হাফিজের বিরুদ্ধে শুনানি হয়নি। ফলে কিছুটা ধন্দে রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল। তাদের বক্তব্য, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সন্ত্রাসবাদ দমনে পদক্ষেপ করা হচ্ছেে বলে পাকিস্তান দাবি করলেও মুম্বই হামলায় সইদের যোগ নিয়ে উচ্চবাচ্য করা হয়নি। বরং সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানের মতো লঘু ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসনে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যালিস জি ওয়েলস টুইট করেন, হাফিজ সইদ ও তার সহযোগীদের অভিযুক্ত করার পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছি। সন্ত্রাসে অর্থের জোগান রুখতে ও ২৬/১১-র মতো হামলায় জড়িত সন্ত্রাসবাদীদের শাস্তি দিতে পাকিস্তানকে (মামলাটির) দ্রুত শুনানি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে আমেরিকা কূটনৈতিক মহলের মতে, পাকিস্তানের পদক্ষেপ নিয়ে আমেরিকাও ধন্দে রয়েছে ।