বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Saraswati Puja At Visva Bharati: ‘বিশ্বভারতীর গাফিলতির জন্যই…’ ছাত্রদের মূর্তিপুজো নিয়ে কী বলছেন আশ্রমিকরা
পরবর্তী খবর
HT Bangla Special: প্রথার বিপরীতে হেঁটে বিশ্বভারতীতে সরস্বতী পুজো। রবিবার বিশ্বভারতীর শান্তিশ্রী বয়েজ হোস্টেলে এই পুজোর আয়োজন করা হয়। ছাত্রদের দাবি, ঘরোয়া উপায়েই এই পুজো আয়োজন হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের মধ্যেই হয় সে আয়োজন। যুক্ত ছিলেন আবাসিকদের অনেকেই। ঘটনাটি নিয়ে যথারীতি নিন্দার ঝড় উঠেছে শান্তিনিকেতনে। আশ্রমিকদের অনেকেই বিষয়টির নিন্দা করেন।
দায় এড়াচ্ছেন কর্তৃপক্ষ
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ প্রথম বীরভূমের এই স্থানে এসে ১৮৬৩ সালে শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন ব্রহ্মধর্মে দীক্ষিত। আশ্রম উপাসনার নিয়মও ছিল ব্রহ্মধর্মের ভাবসঞ্জাত। দীর্ঘকাল ধরে এই নিয়মের অন্যথা হয়নি। হলেও সেই ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এক্ষেত্রেও ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন আশ্রমিকরা। সংবাদমাধ্যমের তরফে ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয় হোস্টেল কর্তৃপক্ষকে। তিনি ছুটিতে রয়েছেন জানিয়ে ঘটনার দায় এড়িয়ে গিয়েছেন। অন্যদিকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্রও ঘটনাটি নিয়ে কথা বলতে চাননি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে।আরও পড়ুন - Kolkata Book Fair: মেলা বই, মেলা পাঠক! বইমেলার হিসেব কি শেষমেশ মেলে বই পড়ার সঙ্গে
সব ধর্মের পড়ুয়া আসেন এখানে
গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের বর্তমান সম্পাদক অনিল কোনার। Hindustan Times বাংলাকে তিনি জানিয়েছেন, ‘বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে মূর্তিপুজো নিষিদ্ধ। নিজেদের বাড়িতে কেউ পুজো করলে সেটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এরকম নিয়ম নেই। আশ্রম এলাকায় মহর্ষির প্রতিষ্ঠিত ব্রহ্মমন্দির রয়েছে। সেখানে সব ধর্মের মানুষ উপাসনা করে। কিন্তু কোনও মূর্তির পুজো এখানে হয় না। সেটা নিষিদ্ধ। ৭৮ বছর বয়সের জীবনে আমি এমনটা কখনও হতে দেখিনি। কর্তৃপক্ষের এই বিষয়ে খোঁজ নেওয়া দেখা কর্তব্য।’
মূর্তিপুজো নিয়ে দেবেন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথ
মূর্তিপুজো নিষেধ নিয়ে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ বা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোনও নির্দেশিকা কি ছিল? ‘ওঁরা মূর্তিপুজো বিশ্বাস করতেন না বলেই ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত ছিলেন। আর সে কারণেই ব্রহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। যেখানে সব ধর্মের মানুষরা ব্রহ্মের উপাসনা করতে পারবে। যেহেতু এখানে নানা ধর্মের ছেলেমেয়েরা পড়তে আসেন, তাই কিছু ছাত্রের মূর্তিপুজো অন্যরকম বার্তা দিতে পারে। কর্তৃপক্ষের এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’আরও পড়ুন - Public Toilet: অথ সুলভ শৌচালয় কথা! বাঙালির নিম্নচাপ নিয়ে এক বিশেষ প্রতিবেদন