ভারতের বিষ বাতাসে হাঁফিয়ে উঠেছিলেন, এর জেরেই জেরোধার সহ-প্রতিষ্ঠাতা নিখিল কামাথের পডকাস্ট ছেড়ে মাঝপথেই বেরিয়ে যান কোটিপতি ব্যবসায়ী ও অ্যান্টি-এজিং বিশেষজ্ঞ ব্রায়ান জনসন। আগাগোড়াই ভারতের বায়ুদূষণ নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। এবারও অন্যথা হল না। বাঁধল নয়া বিতর্ক।
সম্প্রতি, হরিদ্বারের বায়ুর গুণমান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এই আমেরিকান উদ্যোক্তা ব্রায়ান জনসন। বার্ধক্য রোধে কতটা কার্যকরী পতঞ্জলির পণ্য, রীতিমত সন্দেহ প্রকাশ করে এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্টও করেন একটি। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হন যোগগুরু রামদেব। জনসনের দাবি, এরপরেই রামদেব তাঁকে ব্লক করে দেন। এমনই পরিস্থিতিতে আবার দেখা গেল, হরিদ্বারে পতঞ্জলি যোগ গ্রাম পরিদর্শনের জনসনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন যোগগুরু রামদেব। এখানে এসে ভারতের যোগব্যায়াম অনুশীলন এবং যোগীদের সম্পর্কে জানার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: (Viral Video: ভারত বনাম বিদেশ, এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ নিয়ে বিতর্ক! তুলনা টেনে যা দেখালেন ইনফ্লুয়েন্সার)
ঠিক কী বলেছেন রামদেব
এক্স-এর একটি পোস্টে, যোগগুরু স্পষ্ট বলেছেন যে বার্ধক্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার বৈজ্ঞানিক উপায় যোগ, আয়ুর্বেদ এবং প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে। রামদেব আরও লেখেন, 'প্রিয় @bryan_johnsonji, আমরা #হরিদ্বার যোগগ্রামে দুর্দান্ত বায়ুর গুণমান দেখানো এমন একটি ভিডিয়ো শেয়ার করছি। আমরা আপনাকে ভারতের যোগব্যায়াম এবং যোগীদের সম্পর্কে খোলামেলাভাবে এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে জানার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। বার্ধক্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার বৈজ্ঞানিক উপায় #যোগ, #আয়ুর্বেদ এবং প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে।'
রামদেব জনসনকে সুস্থ জীবনযাপন, 'প্রকৃতভাবে বার্ধক্য রোধ' এবং বিজ্ঞান ও তথ্যের উপর ভিত্তি করে সঠিক সমাধান সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে, রামদেব পোস্টে বলেছেন যে 'যেহেতু আপনাকে হঠাৎ মুম্বই ছেড়ে যেতে হয়েছিল, তাই আমরা আপনাকে হরিদ্বার #patanjaliYoggram পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সেখান থেকে, আমরা বিজ্ঞান ও প্রমাণ সহ স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং #reathableantiaging সমাধান সম্পর্কে একটি পডকাস্টও করতে পারি'।
জনসন ও রামদেবের মধ্যে বিতর্কের সূত্রপাত কোথায়
সম্প্রতি, মঙ্গলবার, ঘোড়ার পাশে পাশে দৌড়নোর একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন রামদেব। ভিডিয়োতে, রামদেব দাবি করেন, 'যদি আপনিও ঘোড়ার মতো দৌড়তে চান, আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে চান এবং বার্ধক্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান, তাহলে স্বর্ণ শিলাজিৎ এবং ইমিউনোগ্রিট গোল্ড ব্যবহার করুন।' উল্লেখ্য, এই দুটি পণ্যই পতঞ্জলির অংশ। আর এই পোস্টেই মন্তব্য করেন জনসন।পতঞ্জলি পণ্যের প্রচারণার সময় রামদেবের পোস্টে মন্তব্য করার পর রামদেব তাঁকে নিজের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লক করে দেন বলেই জানান।
এক্স-তে রামদেবের পোস্ট পুনরায় শেয়ার করে জনসন বলেন, তিনি মন্তব্য করে বলেছিলেন যে হরিদ্বারে বাতাসের মান এখন পিএম২.৫ ৩৬ ইউজি/এম৩, যা দিনে ১.৬ সিগারেট খাওয়ার সমান। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি ৪০-৫০ শতাংশ, ফুসফুসের ক্যানসার ৩ গুণ, দীর্ঘস্থায়ী অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ এবং অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা বৃদ্ধি করতে পারে।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়। প্রায়শই ভারতে বায়ু দূষণ নিয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা বলেছেন ব্রায়ান জনসন। সম্প্রতি বাতাসের গুণমানের সমস্যার কথা উল্লেখ করে হঠাৎই নিখিল কামাথের পডকাস্ট ছেড়ে চলে যান জনসন। বলা হয়েছিল দূষিত বাতাসের কারণেই মাঝপথেই পডকাস্ট ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। এ কারণে শিরোনামে এসেছিলেন তখনও।