সোমবার থেকে স্টার জলসায় শুরু হচ্ছে বহু প্রতিক্ষীত ধারাবাহিক ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’। আর তা আসছে রাত সাড়ে আটটায়। অর্থাৎ দেওয়া হয়েছে গৃহপ্রবেশের জায়গা। এদিকে, স্লট দখলে থাকার পরেও, সরে যেতে হচ্ছে গৃহপ্রবেশকে। তবে এখনই বন্ধ হচ্ছে না উষসী-সুস্মিতের মেগা। তাহলে সোমবার থেকে দর্শকরা কোন সময়ে দেখতে পারবেন গৃহপ্রবেশ?
গৃহপ্রবেশকে পাঠানো হল রাত ১০টায়। অর্থাৎ এর মোকাবিলা হবে এবার আনন্দী ও মিত্তির বাড়ির সঙ্গে। বন্ধ হয়ে যাওয়া রোশনাইয়ের জায়গা নিল এই মেগা। জি বাংলাতেও বেশ বদল হয়েছে স্লটে। সোমবার থেকে সাড়ে আটটায় আসলে আসছে দু দুটি নতুন মেগা। স্টার জলসায় রাণী ভবানি আর জি বাংলায় দাদামণি। এখন দেখার, প্রতীক সেন না রাজনন্দিনী পাল, কার দিকে পাল্লা ভারি হয় দর্শকদের।
এদিকে, ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’-র প্রচারে অঢেল খরচ করেছে স্টার জলসা। বাংলা ধারাবাহিকে যা আগে দেখেনি দর্শক। শুক্রবার একটি রোড শো-র আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে পরতে পরতে ছিল আশির দশকের ছোঁয়া। পালকিতে করে জনসম্মুখে আসেন রাণী-র চরিত্রে অভিনয় করা রাজনন্দিনী পাল। গায়ে তাঁর লাল বেনারসি, সঙ্গে ভারি-ভারি সোনার গয়না। আর সব দিক দিয়ে বিচার করলে, টিআরপিতে পাল্লা ভারি স্টার জলসারই।
রাণী ভবাণীর জন্ম থেকে বড় হয়ে ওঠা, বিয়ে, তারাপীঠের মন্দিরের সঙ্গে যোগ আর শেষে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, সবটাই দেখানো হবে। ঐতিহাসির গল্পের চাহিদা বাংলায় বরাবরের। যার প্রমাণ রাণী রাসমণি, মহাপিঠ তারাপীঠের মতো ধারাবাহিক।
এবার একটু ফেরা যাক, গৃহপ্রবেশ প্রসঙ্গে। বেশ টানটান গল্পের কারণে, বিগত কয়েকমস ধরেই কোন গোপনে মন ভেসেছেকে দমিয়ে রেখেছিল আদৃত-শুভলক্ষ্মী। মোহনা-র সব জারিজুরি সত্ত্বেও, অটুট আদৃতের বন্ধন। শেষ এপিসোডে দেখা গিয়েছে, গৃহপরিচারিকার ছদ্মবেশে আসা লাকিই যে আসলে, শুভলক্ষ্মী তা ধরে ফেলে আদৃত। খানিক মিটেও যায় ভুল বোঝাবুঝি। এবারে দুজনে একসঙ্গে চোখ রাখবে মোহনার উপর। আদৌ অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার যে দাবি মোহনা করেছে, তা কতটা সঠিক, নাকি পুরোটাই ভাঁওতা, এবার হবে তারই পর্দাফাঁস।